আমাজনের পর এবার দাবানল উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আফ্রিকার অরণ্যেও

এক ফুসফুস পুড়ছে। অন্য ফুসফুসও জ্বলে খাক হচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আমাজনের চিরহরিৎ বৃষ্টি-অরণ্যের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই নাসার উপগ্রহচিত্রে উঠে এল আরেক বিধ্বংসী দাবানলের ছবি। আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো অববাহিকায় 10 লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত চিরহরিৎ অরণ্যও আগুনের গ্রাসে। আফ্রিকার এই চিরহরিৎ অরণ্যকে বলা হয় পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস। প্রায় একই সময়ে আমাজন ও আফ্রিকার ফরেস্টে বিপন্নতার ছবি বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদকে বহু গুণ বাড়াবে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।

বিশ্বের বৃহত্তম রেন ফরেস্ট আমাজনকে নিয়ে তুলনায় বেশি চর্চা হলেও কিছুটা পরে নজরে এসেছে আফ্রিকার অরণ্যে ভয়াবহ দাবানলের খবর। জানা যাচ্ছে, কঙ্গো ও অ্যাঙ্গোলায় গত 48 ঘন্টায় আগুনের দাপট ছিল ব্রাজিলের চেয়েও ভয়াবহ। কঙ্গো, গ্যাবন, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ক্যামেরুন, মাদাগাস্কার জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই চিরহরিৎ অরণ্য। কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জলবায়ু বিষয়ক দূত টোসি এমপানু বলেছেন, আফ্রিকা আর ব্রাজিলে আগুন লাগার কারণ ভিন্ন। আমাজনে মূলত খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দাবানল লাগামছাড়া। অন্যদিকে মধ্য আফ্রিকার অরণ্য ভ্রান্ত কৃষি পদ্ধতি, জঙ্গল পুড়িয়ে ঝুম রীতিতে চাষ এবং ব্যাপক বৃক্ষ নিধনের ফল ভুগছে। খনিজ ও তেল প্রকল্পের জন্যও ক্ষতি হচ্ছে আফ্রিকার চিরহরিৎ অরণ্যের।

আরও পড়ুন-আমাজন অগ্নিকাণ্ড: জি-7 গোষ্ঠীর অর্থ সাহায্য নিতে অস্বীকার ব্রাজিলের

 

Previous articleবিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার! কোথায় জানেন?
Next articleএখন ভারি বৃষ্টির অপেক্ষায় আমাজন