জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে ডায়েরি ঘিরে রহস্য

কেটে গিয়েছে দুদিন। এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে জিয়াগঞ্জের হত্যা রহস্য। দিনেদুপুরে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের ৩জনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও ধন্দে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়া কোনও অগ্রগতি হয়নি। তদন্তে নেমে নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের স্ত্রী বিউটি পালের ঘর থেকে একটি নোট ও একটি ডায়েরি পেয়েছে পুলিশ। যেগুলি দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার জানান, কয়েকজনকে জেরা করে তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, টাকা ধার নেওযার কারণেই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বন্ধুপ্রকাশ পাল সাহাপুরে থাকার সময় বেশ কয়েকজনের থেকে টাকা ধার করেন। পরে জিয়াগঞ্জে চলে গেলেও, তিনি সেই টাকা শোধ করেননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাড়ির চালক স্বপন কর্মকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। নিহত শিক্ষক তাঁর কাছে গাড়ি চালানো শিখেছিলেন। তবে, তদন্ত প্রক্রিয়ায় খুশি নন পাল পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-চা শ্রমিকদের বোনাস ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি

 

Previous articleচা শ্রমিকদের বোনাস ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি
Next articleঠাকুরনগরে বিরল প্রজাতির ৯০টি কচ্ছপ-সহ ধৃত ১