এক রেজাওয়ানের মৃত্যু নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন মমতা, আজকের বিরোধীরা অপদার্থ

এক রেজাওয়ানের মৃত্যু নিয়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন মমতা, তখনকার বিরোধী নেত্রী। সেটি ছিল মূলত একটি ব্যক্তিগত পারিবারিক ঘটনা এবং আত্মহত্যা। তাতেই বাম সরকার টলে যাওয়ার উপক্রম। কৌশলে রাজনৈতিকভাবে সিপিএমকে দশগোল দিয়েছিলেন মমতা।

আর আজ? জিয়াগঞ্জে সপরিবার খুন শিক্ষক। বিরোধীরা কোথায়? রাজ্যপাল সরব একা। তাই নিয়ে বিতর্ক। কিন্তু আসল ইস্যু? তিনি যে দলের হোন বা না হোন, এমন নৃশংস খুন হবে কেন? বিরোধী দলনেতা বলে চেয়ারে থাকা আব্দুল মান্নান আন্দোলন ভুলে গেছেন। বড়জোর মামলা, চিঠি বা বৈঠক। পদটার গুরুত্ব শূন্যতে নেমেছে। মানুষ হাসেন। কংগ্রেস নীরব। বামেরা নীরব। আগমার্কা এখনকার বিরোধী বিজেপি আজ পর্যন্ত নিখোঁজ। শিক্ষক না কি আর এস এস। বেশ। সঙ্ঘ পরিবারই বা কই? ব্যক্তিগত খুন হোক বা যেকোনো কারণে, এত ভয়ঙ্কর খুন নিয়ে সরব হবে না বিরোধীরা? ঘটনাস্থলে যাবেন না নেতারা? হতেই পারে পারিবারিক, খুন তো খুন বটেই। শিশু খুন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা খুন। আঁতেল বুদ্ধিজীবীরা মোমবাতিমিছিলেও নেই? সবাই পুজোর মুডে। তাহলে দুষ্কৃতীরা এই পুজোর সময়গুলোই ঠিকঠাক করে রাখুক প্রতিবার। বাঙালীর কাজে ফিরতে সময় লাগবে।

এই অপদার্থ বিরোধীদের বিরোধিতা শেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীত থেকে। চারটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে শুধু মিডিয়ার সামনে বিপ্লব করে এঁরা কাঠামোটাকেই ধ্বংস করে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন-এ বছরেই স্কুল সার্ভিসের বিজ্ঞাপন

 

Previous articleএ বছরেই স্কুল সার্ভিসের বিজ্ঞাপন
Next articleচা শ্রমিকদের বোনাস ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি