তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে যেখানে দানা বাঁধছে রহস্য

এবছর দশমীর দিন ভোরে পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত তথ্য-প্রযুক্তির কর্মী অভিষেক মণ্ডল। পুজোয় এসেছিলেন বাড়িতে। নিউটউন-এর বাসিন্দা অভিষেক নবমীর দিন সকালে বেরিয়ে যায়। কথা ছিল FD ব্লক-এ বন্ধু রনির বাড়িতে কাটিয়ে পরদিন বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু দশমীর দিন ভোরে রনির পরিবারের লোকজন অভিষেক-এর বাবাকে ছেলের দুর্ঘটনার খবর দেয়। সল্টলেকে-এর আমরি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে।

এরপর বাড়ির লোক সেখানে গেলে দেখা যায়, মাথায় গভীর আঘাত নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অভিষেক। অবশেষে ১৩ অক্টোবর মারা যায় অভিষেক। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

বাড়ির লোকের অভিযোগ, নিছক দুর্ঘটনা নয়, নেপথ্যে অন্য ঘটনা রয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। lপুলিশের অবহেলার জেরে মূল অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে সেই রনি বেঙ্গালুরু চলে গেছে। ফোনও সুইচড অফ করে রেখেছে। এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিষেকের পরিবার।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, ভুল করেই গুলি চলেছিল

রহস্য যেখানে যেখানে দানা বাঁধছে-

১. দশমীর দিন মানে ৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে চারটের ঘটনা। ঘটেছিলো FD ব্লক’র কাছে। অথচ একঘন্টা পর মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে আমরিতে নিয়ে যাওয়া হলো সাড়ে পাঁচটা নাগাদ।

২. দুর্ঘটনায় যে ধরণের আঘাত, তেমন চিহ্ন নেই অভিষেক-এর শরীরে। শুধু মাথায় আঘাত আর হাত ও কনুইয়ে কালো স্পট আছে।

৩. ইনোভা গাড়ি ধাক্কা মেরেছে অথচ শরীরে কোনো ছোড়ে যাওয়া বা ধাক্কা লেগে কাটার বা ফ্র্যাকচার-এর চিহ্ন নেই। দুটো মোবাইল, চশমা, হাতঘড়ি অক্ষত আছে।

৪. গাড়ির ডিটেল ঘটনার দিন পেলেও আটক করা হলো ১৭ তারিখ। ফরেনসিক ও অভিষেক-এর জামা ও প্যান্ট পরীক্ষাও হলো ঘটনার আট দিন পর।

৫. একমাত্র প্রতক্ষদর্শী রনির শুধু পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

৬. মৃত্যুর পরে এখনো সেকশন বদল হয়নি, শুধু বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোরই ধারা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন – রাজপথে প্রদেশ কংগ্রেসের ধিক্কার মিছিল, অবরুদ্ধ মৌলালি মোড়

Previous articleবাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, ভুল করেই গুলি চলেছিল
Next articleকুকুর-কাণ্ড: চার বছর পর ভর্ৎসনার সময় পেল এমসিআই!