মাত্র 3 ঘণ্টায় খুনের ছক প্রিন্স, বিশালের

মাত্র তিন ঘণ্টা, তার মধ্যেই দেবাঞ্জন দাসকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল প্রিন্স সিং। লাগাতার জেরায় খুনের অভিযোগ কবুল করে সে। নবমীর রাতে সল্টলেকের সেক্টর 3তে একটি পানশালায় বসে মদ্যপান করে প্রিন্স ও বিশাল। সেখানেই দেবাঞ্জনকে খুনের ছক কষে। কারণ, ত্রিকোণ প্রেম। যে তরুণীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের বর্তমানে সম্পর্ক ছিল, তিনি প্রিন্সের প্রাক্তন বান্ধবী। তিন বছর ধরে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পর, তাতে ইতি টেনে দেবাঞ্জনের কাছে গিয়েছিলেন সেই তরুণী। কিন্তু একথা মেনে নিতে পারেনি প্রিন্স। বারবার দেবাঞ্জনকে সরে যেতে বলে সে। এমনকী, হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। নবমীর দিন বান্ধবীকে নিয়ে দেবাঞ্জন প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়েছেন এবং সেখান থেকে পার্টিতে গিয়েছেন এই খবর পেয়েই তাঁকে চিরদিনের মতো রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে প্রিন্স। সেইমতো বেলঘরিয়ায় এক বন্ধুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নেয়। তারপরে বিশালের স্কুটিতে চেপে দেবাঞ্জনকে ফলো করে। দেবাঞ্জনের গতিবিধি সম্পর্কে বিশালই প্রিন্সকে খবরাখবর দিচ্ছিল। নিমতায় বান্ধবীকে নামিয়ে ফেরার পথে দেবাঞ্জন দাসকে গুলি করে প্রিন্স সিং। ঘটনাস্থল থেকে বিশালের স্কুটিতে চেপেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে একাদশী পর্যন্ত দমদমে বিশালের এক পরিচিতর ফ্ল্যাটে গা-ঢাকা দিয়েছিল প্রিন্স। সেখান থেকে যায় বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়ি। আত্মীয়দের দাবি, প্রথমে জানায় সে একটা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খুঁজছে তাই কদিন থাকতে চায়। পরে তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় আত্মীয়রা চেপে ধরেন। তখনই সে জানায়, মারামারিতে খুন হয়ে গিয়েছে একটি ছেলে। তবে লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার, সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যখন তাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন খাটের তলায় লুকিয়ে ছিল সে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেরার মুখে প্রিন্স স্বীকার করে, দেবাঞ্জনের সঙ্গে প্রাক্তন বান্ধবী সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না সে। বারবার বলা সত্ত্বেও দেবাঞ্জন সরে না যাওয়াতেই তাঁকে চিরদিনের মত সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করে।

 

আরও পড়ুন-লাইন থেকে লরি সরাতে 3 ঘণ্টা পার!

 

Previous articleলাইন থেকে লরি সরাতে 3 ঘণ্টা পার!
Next articleপর্যটকদের জন্য খুলে গেল সিয়াচেন গ্লেসিয়ার, রাজনাথের হাতে সেতুর উদ্বোধন