আর 3দিন, আর্জি না জানালে ফাঁসিই হবে নির্ভয়া- অপরাধীদের, নোটিশ তিহার জেলে

মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত নির্ভয়া-অপরাধীদের।

2012 সালে ডিসেম্বরে দিল্লীর রাজপথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় শিহরিত হয়েছিলো গোটা দেশ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত 4 অভিযুক্তকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল দায়রা আদালত।পরবর্তীকালে সেই রায়েই সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 3 দিনের মধ্যে শেষবারের মতো সাজাপ্রাপ্তরা আদালতে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাতে পারে অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাতে পারে। এ পথে না গেলে যে কোনও দিন তাদের ফাঁসি হতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে জেলের এক নোটিশে। নির্ভয়া কাণ্ডে 4 সাজাপ্রাপ্তের কেউই এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়নি। সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করার আর্জিও জানায়নি 4 জনের কেউই।
সাজাপ্রাপ্ত 4 জনের 3 জনকে তিহার জেলে রাখা হয়েছে। চতুর্থজন আছে মাণ্ডোলি জেলে।
নোটিশ জারি করে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, শেষবারের মতো ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজার আর্জি জানাতে পারে তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, 4 জনের কেউই তা এখনও করেনি। কেউই আবেদন না করায় দুই জেল কর্তৃপক্ষের তরফেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই নোটিশ পাওয়ার পরেও নীরব আছে 4 জনই। তিহার জেলের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গোয়েল ওই নোটিশে বলেছেন, “নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা পাওয়া 4 জনের মধ্যে 3 জন তিহার জেলে রয়েছে। চতুর্থ জন রয়েছে মাণ্ডোলি জেলের 14 নম্বরে সেলে। 4 জনকেই দায়রা আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর লাগিয়েছে সেই সিদ্ধান্তে। এই অবস্থায় 4 জন সাজাপ্রাপ্তই ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন করে তা অন্য কোনও সাজায় পরিবর্তন করার আবেদন জানাতে পারত। জেল তাদের এ বিষয়ে জানিয়েছিল।”
কিন্তু এই নোটিশ পাওয়ার পরেও নাকি 4 জন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীই চুপ হয়ে আছে। সন্দীপ গোয়েল জানান, আর দিন তিনেক বাকি আছে, এর মধ্যে কেউ যদি কোনও আবেদন না করে, তবে জেল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি জানাবে ট্রায়াল আদালতকে। সেখান থেকেই মৃত্যু পরোয়ানা কবে জারি করা হবে তার নির্দেশ আসবে। এই পরোয়ানা জেলে আসার অর্থ সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর ফাঁসি চূড়ান্ত।

2012 সালের 16 ডিসেম্বর দিল্লির মুনরিকা এলাকায় এক চলন্ত বাসে 6 দুষ্কৃতীর পাশবিক ধর্ষণের শিকার হয় প্যারামেডিক্যাল পাঠরতা এক ছাত্রী, সংবাদমাধ্যম যে ছাত্রীর নাম দেয় ‘নির্ভয়া’। অভিযুক্তদের একজন নাবালক হওয়ায় তাঁকে জুভেনাইল হোমে রাখা হয়। এক অপরাধী জেলেই আত্মহত্যা করে।

আরও পড়ুন-‘দিল্লি যেন গ্যাস চেম্বার’, পড়শি ২ রাজ্যেকে দুষলেন কেজরিওয়াল

Previous article‘দিল্লি যেন গ্যাস চেম্বার’, পড়শি ২ রাজ্যেকে দুষলেন কেজরিওয়াল
Next articleবৈশাখীর মেয়ের জন্মদিনে যাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষেরা, বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদ সময়ের অপেক্ষা