ফুসফুসে ঢুকছে বিষ, সময়ের আগেই মৃত্যু ২০ শতাংশ মানুষের!

প্রতিনিয়ত দেহে প্রবেশ করছে বিষাক্ত বায়ু (Air Pollution)। আর এর ফলে অজান্তেই আমাদের দেহে হচ্ছে ক্ষয়। যার অন্তিম পরিণাম মৃত্যু। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে ক্রমাগত বিষ বায়ু সেবনের ফলে দেশ জুড়ে মৃত্যু হয়েছে আট লক্ষেরও বেশি মানুষের। ২০১৮ সালের প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে গোটা বিশ্বে যতজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ২০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ এই বিষ বায়ু।

বছর দুই আগের এই গবেষণায় বিপজ্জনক বলে গণ্য করা হয়েছে ভারত (India) এবং চিনকে (China)। কারণ মোট মৃত্যুর একটা বড় অংশ এই দুই দেশে থেকে বলে দাবি করেছে ‘এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ নামক এই পত্রিকা। তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh), ইন্দোনেশিয়া (Indonesia), জাপান (Japan) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (America) মতো নামও। বিভিন্ন কলকারখানা, কয়লা খনি, তেল, গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে নির্গত সুক্ষ্ম অংশ মিশছে মানুষের প্রতিদিনের প্রশ্বাসে৷ এর ফলে শুধুমাত্র এশিয়া (Asia) মহাদেশের প্রায় ১২টি দেশের বায়ু ক্রমে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে বলে জানানো হয়েছে উক্ত গবেষণা পত্রিকায়।

বায়ু দুষণের ফলে যে মানুষের গড় আয়ু কমছে সে ব্যাপারে আগে একাধিকবার চিন্তা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। দুষণের বাড়বাড়ন্তের ফলে গড়ে ২ বছর করে কমছে আয়ু। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ (Who) এই ব্যাপারে দেখছেন অশনি সংকেত। ‘হু’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঘরে বাইরে মিলিয়ে প্রতি বছর শুধুমাত্র বায়ুদূষণের জন্য সাত লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে অন্যান্য রোগে মানুষের মৃত্যু হলেও, শুধু মাত্র বায়ু দুষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে সমস্ত মাইল ফলক। এইডস (Aids), এইচআইভি (HIV), ম্যালেরিয়ার মতো রোগের থেকেও বিষাক্ত বায়ু দেহে প্রবেশ করে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ গুণ বেশি।

সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে এর বিরুদ্ধে লড়াই করার কিছু উপায়। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই গবেষণার অন্যতম মুখপাত্র কর্ণ ভোহরা জানিয়েছেন, কোন কোন অঞ্চলে দুষণের পরিমাণ বেশি এবং মানুষের বসতি কোথায়, তা দেখতে হবে৷ বিদ্যুৎ এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে হবে বিকল্প পথ বা গ্রিন এনার্জি৷ কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে দেশের সরকারগুলিকে।

Advt

Previous articleসুস্থ অশ্বিন, জানাল বিসিসিআই
Next articleফিল্মি কায়দায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ: পুলিশের তৎপতায় উদ্ধার