বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে টোপ দিয়েছিলেন দিলীপ, দাবি ছত্রধর মাহাতোর

বঙ্গ রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়েছে জঙ্গলমহল। ২০১১ সালে এই জঙ্গল মহল থেকেই সিপিএমকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল সেখানকার জনগণ। জঙ্গলমহলবাসীর আশীর্বাদ মুখ্যমন্ত্রী করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee)। একুশের বঙ্গ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলগুলির নজর আবার গিয়ে পড়েছে সেই জঙ্গলমহলের। আপাতদৃষ্টিতে অবশ্য দেখা যাচ্ছে এই এলাকায় বেশ শক্ত পোক্ত ভাবে ঘাঁটি গেড়েছে বিজেপি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের আসনগুলিতে জয় পেয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। অবশ্য তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছত্রধর মাহাতো(Chatradhar Mahato) জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিজেপির একাধিপত্যে কিছুটা হলেও বাধা পড়েছে। এহেন সময়ই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। তার দাবি, জেল থেকে বের হওয়ার পর জঙ্গলমহল দখলের উদ্দেশ্যে ছত্রধরকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য টোপ দিয়েছিলেন খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।

ছত্রধর মাহাতোর জেল মুক্তির পর প্রকাশ্য জনসভায় দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আপনি যে লড়াই মানুষের জন্য করেছেন, যার জন্য করেছেন, সে আপনাকে জেলেও ভরেছে। এখন ভোটের স্বার্থে আপনাকে বের করে দলে পদ ও আপনার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।’ ছত্রধর মাহাতোর দাবি, পরে দিলীপ ঘোষ তাকে বলেছিলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এটা জঙ্গলমহলের আদিবাসী মাহাতো মানুষ মানবে না। বিজেপিতে আসুন। বিজেপি আপনাকে সম্মান দেবে। আমরা যা বলি তাই করি।’ যদি দিলীপ ঘোষের এই টোপ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছত্রধর জানিয়েছেন, ‘দিলীপবাবু ইতিহাস ভুলে যান। কদিন আগেই ওনাদের দলের মেজ ছোট নেতারা আমাকে মাওবাদী আখ্যা দিয়ে জঙ্গলমহলে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছিল। দিলীপবাবু বোধহয় ভুলে গেছেন, তৎকালীন বাম সরকার মিথ্যে মামলায় আমায় জেলে ভরেছিল। তখন যারা সিপিএমে ছিল তারাই এখন জামা পাল্টে বিজেপিতে ঢুকে সন্ত্রাস করছে।

আরও পড়ুন:বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে দুই নেতা, মুকুল-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দীপকের

পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গলমহলে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো আরও জানান, ‘ঝাড়খণ্ড ছত্রিশগড় সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণ টাকা ঢুকিয়ে জঙ্গলমহলের মানুষকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। পাশাপাশি জঙ্গলমহলের সাদাসিধে মানুষগুলিকে ভুল বুঝিয়ে মমতা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে একের পর এক মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের ভুলিয়ে ভোট দখল করেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পর এত দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ওরা। জঙ্গলমহলের মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপি আসলে কত বড় প্রতারক।’

Advt

Previous articleবিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে দুই নেতা, মুকুল-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দীপকের
Next article২৪৯ রানে এগিয়ে ভারত, পাঁচ উইকেট অশ্বিনের