আব্বাসের সঙ্গে আসন রফায় পরশু বৈঠক, ৪৪ আসনেই সমঝোতা!

এখনও বাম-কংগ্রেস (Left-Cong) জোটের আসন রফা সম্পূর্ণ হয়নি। অথচ তার মাঝেই আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) সঙ্গে জোট করতে মরিয়া আলিমুদ্দিনের (Alimuddin) নেতারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি জোটের বৈঠকে তাই আব্বাসকে থাকার জন্য চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (left front chairman Biman Basu)। তার আগে জোটের প্রস্তাব দিয়ে বামফ্রন্টকে চিঠি দিয়েছিলেন আব্বাস। সেই চিঠির সূত্র ধরে মূলত বামেদের এই উদ্যোগ।

কী হতে পারে আসন ছাড়ার ফর্মুলা? বাম শিবির সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে ফর্মুলা হতে পারে ১:২। অর্থাৎ কংগ্রেস ১টি আসন ছাড়লে বামেরা ছাড়বে ২টি। জোটের কাছে আব্বাস নাকি ৪৪টি আসন চেয়েছেন। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ছাড়বে ১৫টি আসন, বামেরা ৩০টি।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, আমরা জোট চাইছি। কংগ্রেসও এই জোটে সামিল হোক চাইছি। কথা হয়েছে অধীর চৌধুরীর (Adhir Choudhury) সঙ্গেও। কংগ্রেসও যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নিচ্ছে তার প্রমাণ মিলেছে জোট চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) লেখা
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের (Opposition Leader Abdul Mannan) চিঠি। ফলে মঙ্গলবারের আলোচনায় আসন রফার চিত্র পরিষ্কার হয়ে যায়।

তবে প্রাথমিক আলোচনায় সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কারণ বামেরা মনে করছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুই দিনাজপুরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় আব্বাসের দল ভোট টানতে পারে। তবে এসব জায়গায় কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক যথেষ্ট থাকায় আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ হবে না।

আব্বাসের সঙ্গে আসন রফা সফল হলে সংখ্যালঘু ভোট কিছুটা শিবির বদল করতে পারে, ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন:রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এবার আবাসনের ব্যবস্থা

Advt

Previous articleরাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এবার আবাসনের ব্যবস্থা
Next article‘অন্নদাতা’ কৃষকদের আন্দোলনকে এবার সমর্থন গান্ধীজির নাতনির