কঙ্কালকাণ্ড খ্যাত বেনাচাপড়া গ্রামে ফুলে ফুলে বরণ করা হল সুশান্ত ঘোষকে

কঙ্কালকাণ্ডে খবরের শিরোনামে এসেছিল বেনাচাপড়া গ্রাম। নাম জড়িয়েছিল সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের ।
দশ বছর পর বৃহস্পতিবার সেই বেনাচাপড়া গ্রামে ঢুকলেন সিপিএম নেতা । ফুলে ফুলে বরণ করা হলো সুশান্ত ঘোষকে। সিপিআইএম নেতাকে ঘিরে পড়ল হুড়োহুড়ি। আর এই উন্মাদনা দেখে রীতিমতো আপ্লুত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
এদিনও এলাকাবাসী অভিযোগ করে, কংকাল কাণ্ডে সুশান্ত ঘোষকে ফাঁসানো হয়েছিল। আজ তাঁকে আমরা বরণ করে নিলাম।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ নয় বছর পর ঘরে ফেরেন সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই আর গড়বেতায় ফিরতে পারেননি সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়ানোয় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পরে তিনি বলেছিলেন, “সভা থেকেই কঙ্কাল কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলব।”
কঙ্কালকাণ্ডে সুশান্তকে সুপ্রিম কোর্ট প্রথম জামিন দিয়েছিল ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তখন শর্ত ছিল নিজের জেলায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। সম্প্রতি সেই শর্ত তুলে নিতেই সিপিএমের তরফে শুরু হয় সুশান্তকে গ্রামে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার বেনাচাপড়ায় ৯ তৃণমূল কর্মী নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শ্যামল আচার্য তাঁর বাবা অজয় আচার্য-সহ ৯ জনের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। প্রথমে রাজ্য পুলিশ ও পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তে নেমে বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধার হয় ২০১১ সালের ৫ জুন।
সেই ঘটনাতেই নাম জড়ায় সুশান্তর। মাস দু’য়েক পর ১১ অগাস্ট তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশে হাজির থাকছেন সুশান্ত ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি।

Previous articleসরস্বতীপুজোর পরেও বজরং দলের ফতোয়া পোস্টার, ক্ষুব্ধ পুরুলিয়া
Next article‘এরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হোক’ : মৃত মইদুলের বাড়িতে গিয়ে বললেন বাদশা