গ্রেফতারের আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন রাকেশ? বিজেপি নেতার বাড়িতে জোরদার পুলিশি তল্লাশি

মাদককাণ্ডে (Drug Case) আগেই নাম উঠে এসেছিল। এবার বিজেপি (BJP) নেতা রাকেশ সিংয়ের (Rakesh Singh) বাড়িতে (Residence) হানা (Raid) কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। আজ, শনিবার দুপুরে রাকেশের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর আগে একপ্রস্থ নাটক ঘটে যায় রাকেশের খিদিরপুর এলাকার অরফানগঞ্জ রোডের প্রাসাদ-সম বাড়িতে। পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকতে গেলে রাকেশের পরিবারের সদস্য ও তার ছেলে-মেয়েরা বাধা দেয়। পরে সার্চ ওয়ারেন্ট এনে প্রায় ঘন্টা তিনেক অপেক্ষার পর পুলিশ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। রাকেশ এলাকার “বাহুবলী” ও দাপুটে নেতা, তাই কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকা ও বাড়ি মুড়ে ফেলা হয় নিশ্চিদ্র পুলিশি ঘেরাটোপে।

গত সপ্তাহে নিউ আলিপুর থেকে কোকেন-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ার পরবঅভিযুক্ত বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের নাম নেয়। বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রী অভিযোগ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ নেতা রাকেশ সিং তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। এরপরেই লালবাজারের তরফে আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার সমন পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন-এবার বেসুরো সুর সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়কের গলায়

লালবাজারে গেলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং কলকাতা পুলিশের সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। রাকেশের সেই আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট। আজই রাকেশকে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাকেশ সিংয়ের খিদিরপুরের বাড়ির বাড়িতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের বিশালবাহিনী।

রাকেশ সিং হাইকোর্টে আবেদন করে জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ লালবাজারের তরফে নোটিশ পান তিনি। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করেই স্থগিতাদেশের আবেদন আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। স্থগিতাদেশের সেই আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি সব্যসাচী চট্টাচার্য। তিনি জানিয়ে দেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে বেআইনি কিছু নেই। তাই এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ আজকেই লালবাজারের পুলিশ কর্তাদের মুখোমুখি হতে হবে রাকেশকে। এদিকে রাকেশ পালিয়ে যেতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকে দুপুর থেকেই খিদিরপুরে রাকেশ সিংয়ের বাড়ির বাইরে গিয়ে হাজির হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। নিউ আলিপুর থানার সঙ্গে ওয়াটগঞ্জ ও দক্ষিণ বন্দর থানার আধিকারিকরাও রয়েছেন এই তল্লাশি অভিযানে। রয়েছেন লালবাজারের এসিপি পদ মর্যাদার আধিকারিক।

Advt

আরও পড়ুন-‘ডবল ইঞ্জিনে’র সুবিধা বুঝেছে ত্রিপুরা: বিপ্লব, সরকার নয় ‘ডবল চুল্লির শ্মশান’: পাল্টা কুণাল

উল্লেখ্য, এদিন সকালেই রাকেশ ইমেল করে লালবাজারকে জানিয়েছেন, আজ তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। কারণ মঙ্গলবার ও বুধবার দিল্লিতে জরুরি কাজ রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবারের পরে কোনও দিন তাঁকে ডাকা হলে তাঁর যেতে কোনও অসুবিধা নেই বলেই জানিয়েছেন রাকেশ। রাকেশ সিংহের ছেলে সাহেব জানায়, তার বাবা দিল্লি যাবে বলে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে, কিন্তু আর বাড়িতে আসেনি।

অন্যদিকে, হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর বিজেপি নেতার মোবাইলের সুইড অফ। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আবার একটি সূত্র জানাচ্ছে, দিল্লির বিমানে ওঠেনি রাকেশ সিং। ফলে পুলিশের ধারণা কোর্ট থেকে বেরিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন রাকেশ সিং।

 

 

Previous articleবিজয় হাজারে টফ্রিতে চন্ডিগড়ের কাছে হার বাংলার
Next articleআত্মনির্ভর দেশ গড়ার আহ্বান, IIT-র সমাবর্তনে আর্জি মোদির