সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে বাম-কংগ্রেসকে খোঁচা ফিরহাদ হাকিমের

বাংলার সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড নিয়ে বিরোধীদের রীতিমতো খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন “ব্রিগেড ভরানো মানেই মানুষের সমর্থন পেয়ে গেলেন, সেটা একেবারেই নয়’।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই একুশের লড়াইয়ে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাকে একসঙ্গে, একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস। সঙ্গে জোটের আর এক শরিক ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকি। বাম, কংগ্রেস-আব্বাসরা একযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল তথা বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন।

তবে মুখে যতই সংযুক্ত মোর্চার কথা বলা হোক না কেন, কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আব্বাসের দল ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট'(Isf)-এর বোঝাপড়া যে মোটেই মসৃণ নয়, তা স্পষ্ট ধরা পড়ল রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে। ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir ranjan Chowdhury)। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে চিৎকার তো ছিলই, একইসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত বাম নেতারা উঠে দাঁড়িয়ে আব্বাসের সঙ্গে হাত মেলানোর ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বক্তব্য থামিয়ে রাখেন অধীর। তারপর মাঝপথে বক্তব্য বন্ধ করে পোডিয়াম ছাড়তে চান। কিন্তু সিপিআইএম (Cpim) নেতা মহম্মদ সেলিম (Md Selim), বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর (Biman Basu) হস্তক্ষেপে ফের বক্তব্য শুরু করেন তিনি। তবে, তাঁর অসন্তোষ স্পষ্ট ধরা পড়ে।

ঘটনাটি যে শাসক শিবিরের নজর এড়ায়নি, নিজের প্রতিক্রিয়ায় কার্যত তা বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আব্বাস সিদ্দিকির সময় সবাই ওঠে দাঁড়িয়েছিল। অধীর চৌধুরীর বেলায় কেউ দাঁড়ায়নি’। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই তৃতীয়বারের জন্য আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন’।

আরও পড়ুন- শীঘ্রই বাজারে আরও ভ্যাকসিন, তবে ২৫০ টাকার বেশী মূল্যে টিকা নয়

Advt

Previous articleনবান্ন অভিযানে হারানো স্বামীকে খুঁজতে ব্রিগেডে স্ত্রী সরস্বতী
Next articleজোটের ব্রিগেডে আব্বাস! ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র খোঁচা শুভেন্দুর