‘হাত-পা ভেঙে আমিই চিকিৎসা করাব’, প্রচারে নেমে হুমকির সুর সুশান্তর গলায়

দীর্ঘ ১০ বছর পর মাস তিনেক হল আদালতের নির্দেশে নিজ জেলায় ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষ(Sushanta Ghosh)। নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছেন জোরকদমে। আর প্রচারে নেমেই স্বমহিমায় ধরা দিলেন এই সিপিআইএম(CPIM) নেতা। রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি জানালেন, ‘ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে হাত পা ভাঙব’।

আদালতের নির্দেশে নিজের জেলায় ফেরার অনুমতি পেয়ে ইদানিং নিয়মিত পার্টি অফিসে বসছেন সুশান্ত ঘোষ। বহু বছর পর নেতাকে পেয়ে তার আশেপাশে ভিড় জমাচ্ছেন পুরনো সহকর্মীরা। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা এখনো প্রকাশিত না হলেও প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। শোনা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সুশান্তকে প্রার্থীও করতে পারে সিপিএম। সম্প্রতি, একদা মাওবাদী অধ্যুষিত শালবনির ভালুকশোল গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। সেখানেই মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি জানান, ‘মাওবাদীরা জানে, তৃনমূলের বাপ ঠাকুরদা জানে, বিজেপির বাপ ঠাকুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে! এত দিন থাকতে পারিনি, যাঁর ক্ষমতা হবে হাত দেওয়ার, তাঁকে তুলে এনে হাত পা ভেঙে আমিই চিকিৎসা করাব।’

আরও পড়ুন:মমতা ‘বাংলার বাঘিনী’: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পূর্ণ সমর্থন শিবসেনার

তবে সুশান্তর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বামেদের যুক্তি, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে এক বামকর্মীকে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হয়েছিল এলাকায়। তাকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি মারধর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। পুরনো সেই কথা শোনার পর ক্রুদ্ধ হয়েই ওই কর্মীকে সাহস যোগাতে একথা বলেছেন সুশান্ত। উল্লেখ্য, একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় সুশান্ত ঘোষের দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। পরে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে তার নাম জড়ায়। এরপর গ্রেফতারির পাশাপাশি বহু বছর আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি পুরনো বাধা পেরিয়ে নিজ জেলায় ফিরেছেন তিনি। জনসমর্থন আদায় করতে দলের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। সেখানেই এবার হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল সুশান্তর গলায়।

Advt

Previous articleমমতা ‘বাংলার বাঘিনী’: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পূর্ণ সমর্থন শিবসেনার
Next articleপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে দিল হাইকোর্ট, স্বস্তিতে রাজ্য