মোদির জনসভা, রবিবারের ব্রিগেডকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তার চাদরে

বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে দেখে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড অভিযানের পর, আগামীকাল রবিবার আরও একটি ব্রিগেড সমাবেশ দেখতে চলেছে বঙ্গ। ৭ মার্চ বিজেপির(BJP) ব্রিগেড সমাবেশের(Brigade rally) প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ফলস্বরূপ মোদির ব্রিগেড অভিযানকে যাতে নিরাপত্তা কোনওরকম খামতি না থাকে তার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে প্রশাসন। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister) জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৩ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী। পাশাপাশি ব্রিগেড তো বটেই গোটা শহর জুড়ে বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তার(security) চাদর।

জানা গিয়েছে, রবিবার ব্রিগেডের জনসভার আগে নিরাপত্তা সমস্ত খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিকরা। ব্রিগেড পরিদর্শনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার বলয় তৈরি করার পাশাপাশি লাল বাজার থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে ব্রিগেডে। ভিআইপি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সভাস্থলকে ছয় জোনে ভাগ করা হয়েছে। এই ৬ টি জোনের দায়িত্বে থাকবেন খোদ ডিসি। সিসিটিভির পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও চলবে নজরদারি।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ব্রিগেডে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন এসপিজি–র দুই শীর্ষ আধিকারিক বিপিন যোশি ও বিমল পাওয়ার। একইসঙ্গে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো ব্রিগেড ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে। ব্যারিকেড ও গার্ড–রেল ব্যবহার করে ৬টি জোনে ভাগ করে ফেলা হচ্ছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডকে। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরির জোনে প্রবেশাধিকার মিলবে শুধুমাত্র কার্ডধারীদের। মাঠের যে কোনও একদিক দিয়ে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ব্রিগেডে ঢোকানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপি অতিথিদের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সকল ব্যক্তির আরটি পিআরসি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্রিগেডের মূল মঞ্চের ওপর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে এক অগ্নিনিরোধক চাদরের আচ্ছাদন তৈরি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বঙ্গে ঠাসা কর্মসূচি কৃষকদের, আসছেন রাকেশ-হান্নানরা

পাশাপাশি শহরের অন্যান্য প্রান্তেও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে রাখা হচ্ছে বিশেষ পুলিশ পিকেটিং। যেকোনো রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে HRFS এবং কুইক রেসপন্স ফোর্স মোতায়েন থাকবে। যে সকল বড় মিছিল আসবে হাওড়া ,শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সেই মিছিলের দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে বিশেষ ব্যবস্থা এবং রেড রোডে বিশেষ পুলিশ পিকেটিং রাখা হচ্ছে ব্রিগেডের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে।

Advt

Previous articleআগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে আরও ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
Next articleসংসদে আস্থা ভোটে জিতে পদ বাঁচালেন ইমরান খান