প্রার্থী না করায় চোখের জল ফেলে দিদিকে ছেড়ে বিজেপিতে সোনালী

রবিবার মোদির ব্রিগেডে ( Brigade meeting) অমিত শাহের (Amit sah) হাত থেকে পতাকা নিচ্ছেন সোনালী গুহ (Sonli Guha)। তার আগে সাফ জানিয়েছেন, প্রার্থী হতে না পারার কারণেই স্তম্ভিত। সেই ক্ষোভেই তৃণমূল ছাড়ছেন।

সোনালী গুহ শুধু যে চারবারের বিধায়ক তাই নয়, পরিবর্তনের পরেই রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (Deputy Speaker) ছিলেন। এক সময়ে তাঁকে মমতার ছায়াসঙ্গীও বলা হতো। যদিও ২০১৬-র ভোটের পর তাঁর সঙ্গে নেত্রীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। সোনালীও বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়ান।

সোনালী জানিয়েছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi) তাঁকে আভাস দিয়েছিলেন। পৈলানে মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে গিয়েও বুঝতে পেরেছিলেন দল তাঁকে চাইছে না। শুক্রবার রাতেও ‘দিদি’র ফোন আসবে আশা করে ফোন খোলা রেখেছিলাম, যা কোনওদিন করি না। কিন্তু এলো না। শনিবার সকালে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ফোন করি। তাঁকে বলি, প্রার্থী হতে চাই না, কিন্তু দলীয় পদ চাই, সম্মান চাই আর অমিত শাহর হাত থেকে পতাকা নিতে চাই। আমাকে কথা দেওয়া হয়েছে।

এতদিনের দল ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে না? চোখের জল ফেলে সোনালী বলেন, এখনও দিদির ফোন এলে কী করব জানি না। কিন্তু এবার মনস্থির করে নিয়েছি। আমাকে দল ভুলে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি তো রাজনীতি করা মেয়ে। আমাকে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। সোনালী অবশ্য স্বীকার করে নেন, নন্দীগ্রামে (Nandigram) জেতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই যথেষ্ট। বাকিটা ভগবানের হাতে।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, চারবারের বিধায়ক প্রার্থী হতে না পারলেই দল ছাড়বেন, এটা কেমন কথা? সোনালী, ৮২ বছরের জটু লাহিড়ী (Jotu Lahiri) বা শীতল সর্দারদের (Shital Sardar) পরিষদীয় ক্ষমতার ‘লোভ’ নিয়ে নানা মহলেই সমালোচনার ঝড়।

Advt

 

Previous articleনাম ঘোষণা হতেই প্রচারে দিলীপ যাদব
Next articleদায়িত্বে সুদীপ জৈন’ই, তৃণমূলের দাবি খারিজ কমিশনে