বয়স ৯০ বছর। তা সত্ত্বেও তৃণমূলে (tmc) টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ছেলেকে নিয়ে সোমবারই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (bjp)। কিন্তু তড়িঘড়ি দলবদলে তাঁর প্রাপ্তি শূন্যই। সিঙ্গুরে বিজেপির প্রার্থী হওয়া হচ্ছে না। শুধু ভোটের মরশুমে তৃণমূলবিরোধী কথা বলানোর জন্য তাঁকে ব্যবহার করবে বিজেপি। একই অবস্থা শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়িরও। প্রায় ৮৩ বছর বয়সেও তিনি প্রার্থী হওয়ার জন্য নাছোড়। বয়সের কারণে তৃণমূল তাঁকে এবার প্রার্থী না করায় রেগেমেগে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন। যদিও তার পরেও তাঁর উদ্দেশ্য পূরণের কোনও সম্ভাবনাই নেই। একই হাল হতে চলেছে সোনালী গুহ, শীতল সর্দার, দীপেন্দু বিশ্বাসের।
বিজেপির নীতি-আদর্শের সঙ্গে এদের কারুর কোনও সম্পর্ক নেই। স্রেফ নিজেরা ভোটের টিকিট পাননি বলে রাতারাতি দলবদল। সুযোগসন্ধানী এই দলবদলুদের (defectors) তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ হবে এমন কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।