রাতের অন্ধকারে কারচুপি করে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে তৃণমূল, দাবি শুভেন্দুর

নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তৃণমূল নেত্রীর একদা ‘কাছের লোক’ বলে পরিচিত বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। প্রত্যেক জনসভায় মমতা যেমন শুভেন্দুকে নাম না করে গদ্দার, মীরজাফর বলছেন ঠিক একইভাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর নাম না করে নতুন নতুন নাম দিচ্ছেন শুভেন্দু। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রিগিং কুইন’ বলছেন তো কখনও আবার ‘বেগম’ বলে কটাক্ষ করছেন।

এদিন ঝাড়গ্রামের বিনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী পালান সোরেনের সমর্থনে জনসভা করেন শুভেন্দু। ভাষণের শুরুতেই নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “বিদায়ী বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রমকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। বদলে প্রার্থী করা হয়েছে দেবনাথ হাঁসদাকে। গত বিধায়ককে পরিবর্তন করতে হল কেন? পরিবর্তন করতে হল কারণ, জামবনির লোককে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন করতে দেয়নি, মনে আছে তো? এই বেগমের সরকার করতে দেয়নি, মনে আছে তো’।

আরও পড়ুন-ভিড় নেই বিজেপি নেতার রোড-শোয়ে, ‘বাংলার মানুষই বার্তা দেবেন’ : নাড্ডা

মঙ্গলবার শুভেন্দু আরও বলেন, “২ তারিখে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ৩ তারিখে এই চোর পঞ্চায়েতগুলো পদত্যাগ করবে লাইন দিয়ে। ৩ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করে বিজেপি জনগণের পঞ্চায়েত তৈরি করে দেবে। আপনারাই ঠিক করবেন কে হবে আপনাদের নেতা’। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে কারচুপি করে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নন্দীগ্রামে ঠাঁই দেওয়ার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয় শুভেন্দু আজ কোনও কথাই বলেননি।

Advt

Previous articleভারত সরকারের গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেলেন বঙ্গবন্ধু
Next articleভোটারদের মাস্ক-গ্লাভস পরে বুথে ঢোকা বাধ্যতামূলক, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের