খেজুরির ‘উপদ্রুত’ গ্রামে প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঢুকে গেলেন কুণাল

২৪ ঘণ্টা আগে যেখানে তৃণমূল (Tmc) প্রার্থীর উপর হামলা হয়, সেই খেজুরি (Khejuri) বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে দলের দিকে পালে হাওয়া টেনে নিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মঙ্গলবার, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডক্টর পার্থপ্রতিম দাসের (Partha Pratim Das) গাড়ির উপর হামলা হয়। তিনি নিজেও আক্রান্ত হন। তার পরদিনই দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে খেজুরির বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্যরকম রোড শো করলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

পার্থপ্রতিমকে পাশে নিয়ে শ্যামপুর, মুরলিচক, গোড়াহার জলপাই, কটকা দেবীচক, গোসাইচক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা
হুড খোলা অটোতে ঘোরেন তাঁরা। তবে, শুধু অটো করে ঘোরেননি তিনি। বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের মধ্যে অটো থেকে নেমে সোজাসুজি বাড়িতে ঢুকে জনসংযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্থানীয় মহিলারাও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ও মুখপাত্রকে। এমনকী, গ্রামের মহিলাদের দিয়ে স্লোগান তুলছেন কুণাল – “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্প- কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর কথা তুলে ধরেন তিনি।

যেখানেই তিনি ছোট পথসভা করেছেন সেখানেই ভিড় জমে গিয়েছে। যাঁরা বাড়িতে ছিলেন তাঁরাও মাইকের শব্দ শুনে বেরিয়ে এসেছেন। এলাকায় বিপুল উদ্দীপনার চোখে পড়ে। সঙ্গে ছিলেন অঞ্চল সভাপতি সমরশংকর মণ্ডল-সহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তীব্র গরম উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকেই কুণাল ঘোষকে চিনতে পেরে তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে, সেলফি তুলতে গিয়ে আসেন। কেউ কেউ বলেন, “আপনাকে তো টিভিতে দেখি”।

অভিযোগ, এই ‘উপদ্রুত’ এলাকায় ‘তৎকাল’ বিজেপি- যাঁরা বেশিরভাগই সিপিআইএম (Cpim) ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) গিয়েছেন এবং কিছু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন-সেই নেতাকর্মীরাই এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন। কিছুদিন আগেই গোলমালের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। এখন তাঁদের ঘরে ফিরে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তার চূড়ান্ত ফল মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থীর ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর। এরপর থেকেই খেজুরি বিধানসভা থমথমে হয়ে ছিল। কিছুটা আতঙ্কে ঘরবন্দি ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু কুণাল ঘোষ সহজভাবে তাঁদের সঙ্গে মিশে এই বার্তাই দেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে রয়েছেন। আতঙ্ক নয়, সংঘবদ্ধভাবে বিজেপির হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে কুণাল পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আবেদন জানান। নির্বাচন কমিশনকেও বিষয়টিকে উপর নজর দেওয়ার কথা বলেন।

স্থানীয় কালী এবং শীতলা মন্দিরে মাথা ঠেকান পার্থপ্রতিম দাস ও কুণাল ঘোষ। কখনও মেঠোপথ ধরে পায়ে হেঁটে, কখনও আবার অটোতে, কখনও ছোট স্ট্রিট কর্নার করে এদিন প্রচার করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। যার ফলে খেজুরি দেখল এক অন্যরকম রোড শো।

আরও পড়ুন: মোদির সভা এড়িয়ে কোন কৌশলি বার্তা দিতে চাইলেন দিব্যেন্দু !

Advt

Previous articleমোদির সভা এড়িয়ে কোন কৌশলি বার্তা দিতে চাইলেন দিব্যেন্দু !
Next articleমমতার মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে রেশন’-এর ধাঁচে দিল্লিতে চালু হচ্ছে নয়া প্রকল্প