‘বাংলায় BJP-র সরকার গড়লে আদিবাসীদের বাস-ট্রেনের ভাড়া মকুব করা হবে’, প্রতিশ্রুতি শাহর

রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ দিনে কি ঝড় তুলতে পারল গেরুয়া শিবির? বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া, ঝাড়গ্রামে জনসভা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি প্রথম সভাটি করেন পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে। সেখান থেকে তৃণমূল সরকারকে সরানোর ডাক দিয়েছেন শাহ।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রগড়া এলাকায় BJP প্রার্থী সঞ্জিত মাহাতোর সমর্থনে এদিন নির্বাচনী সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘রোজগার চাইলে বাংলায় BJP-কে ক্ষমতায় আনুন।’

পাশাপাশি ‘খেলা হবে’ স্লোগানকেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বাংলার ঘরে ঘরে ছোট ছেলেরা ফুটবল খেলে। তাই খেলা হবে স্লোগানকে কেউ ভয় পায় না।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘বাংলায় ক্ষমতায় এলে রাগড়া থেকে রামেশ্বর যাওয়ার রাস্তায় সুবর্ণরেখা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। পানীয় জলের যে সঙ্কট রয়েছে তা সমাধান করা হবে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলায় BJP-র সরকার গড়লে আদিবাসীদের বাস ও ট্রেনের ভাড়া মকুব করা হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও অর্থের প্রয়োজন পড়বে না। কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারে রোড শো-এ জনজোয়ার, নাম না করে দীপককে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ অভিষেকের

পাশাপাশি ‘খেলা হবে’ স্লোগানকেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বাংলার ঘরে ঘরে ছোট ছেলেরা ফুটবল খেলে। তাই খেলা হবে স্লোগানকে কেউ ভয় পায় না।’

পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি জনসভা থেকে অমিত শাহ বলে, “আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য বোর্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলের মানুষকে যাতে চিকিত্সার জন্য বাইরে যেতে না হয়, তার জন্য জঙ্গলমহলে এমস তৈরি হবে। পুরো জঙ্গলমহলকে ট্রেন লাইন দিয়ে জুড়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ২ বছরের মধ্যে শেষ হবে। বাংলায় বিজেপি সরকার এলেই প্রত্যেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে দেব। জঙ্গলমহলের মানুষের উন্নয়নের জন্য আমরা ‘জঙ্গলমহল উন্নয়ন বোর্ড’ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছি।”

শাহ আরও বলেন, “দিদি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকা বাংলার মানুষকে দিতে দেন না। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সবাই এই সুবিধা পাবেন।”

Advt

Previous articleস্ত্রীর জন্মদিনে মার্সিডিজ উপহার দিলেন অনিল কাপুর
Next articleসীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ‍‘রিট্রিট সিরিমনি’ ২৬ মার্চ