দাসপুর, চন্দ্রকোণায় ও ডেবরায় সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অনেক রোদ তাও আপনারা এসেছেন উপস্থিত সকল কে অনেক ধন্যবাদ।

বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানের উন্নয়নের জন্য আমরা টাকা দিয়েছি, ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে কোপালেশ্বর কেলেঘাই বক্রেশ্বর খাল এ সেচের ব্যবস্থার করেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার চেষ্টা করছি গত ৫ বছর ধরে, দিল্লির নেতারা টাকাও দিচ্ছে না প্ল্যান ক্লিয়ার ও করে দেবেনা।

হিন্দু সভার নাম করে লিফলেট এর মাধ্যমে মিথ্যে কথা প্রচার করছে। প্রতিবার বন্যায় বাংলার ঘর ভাসবে আর ওরা টাকা নিয়ে নাচবে, বন্যা হলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি।

বহিরাগত কত গুলো গুন্ডা এসে মিথ্যে বলছে, ঐসব মাস্তানদের একদম সমর্থন করবেন না। কাল কন্টাইতে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন বন্দুক হাতে ধরা পড়েছে। কে কি করছে সব খবর আমাদের কাছে আছে

তোমাদের ক্ষমতা থাকলে সামনাসামনি লড়াই কর। গুন্ডা নিয়ে কেন আসছ? তৃণমূলের মীরজাফর গুলো এখন বিজেপির সাথে। এরা ভয় দেখাতে কফি হাউজে চলে যাচ্ছে। এরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গেছিল। শিল্পী সাহিত্যিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। দিয়েছে? রান্নার গ্যাস এখন ১০০০ টাকা এরপরে ২০০০ টাকা হবে। আমি বিনে পয়সায় চাল দেব তা আপনাদের ফোটাতে হবে ২০০০ টাকার গ্যাসে।

রোজ এসে মিথ্যে কথা বলছে। রেল, ভেল সব সরকারি সম্পত্তি বেঁচে দিচ্ছে। বলছে সপ্তম বেতন কমিশন হবে। ত্রিপুরায় করেছে? বিজেপিকে জিজ্ঞেস করতে চাই যখন ওরা শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙে আপনাদের লজ্জা করে না!

ওরা গরীবের বাড়িতে খায় না। ছবি তুলে দেখায় খাচ্ছে, কিন্তু ফাইভস্টার হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে খায়। আমি সবার হাতে খাই। ওরা তিলক কাটে, নিজেদের হিন্দু দেখায়। আমিও হিন্দু ব্রাহ্মণ। আমি সবাইকে সমান চোখে দেখি।

আমি কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী সব করেছি। এসে বলে ‘সুনার বাংলা’ তৈরি করব। সোনার বাংলা কথাটাও উচ্চারণ করতে প্যাঁরে না। যারা বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরামের মূর্তি ভাঙে তারা বাংলাকে ভালোবাসে না।

আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে জেতালে রেশন আমরা আপনাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেব। ছাত্রদের ট্যাব কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। কৃষকদের ৬০০০ টাকা বাড়িয়ে এরপরে ১০,০০০ টাকা করে দিচ্ছি। মা-বোনেদের হাতে ৫০০ টাকা করে মাসে দেব। এসসি, এসটি হলে তা ১০০০। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে অল্প সুদে ১০,০০০০ টাকা লোন দেব।

আমরা ক্ষমতায় এলে মোদীকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। দরকার হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে ধর্না দেব। আমরা এলে রাস্তা হবে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব হবে। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই।

দাড়ি থাকলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল ঘরে ঘরে। ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি নোট বন্দি চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি লকডাউনে চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি সবাইকে দাঙ্গা করে মারি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি এনপিআর করি।

সিপিএম, কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়েছে। বলছে সংখ্যালঘু ভোট কাটবে। জিজ্ঞেস করুন কতো টাকা নিয়েছে বিজেপির থেকে?

ওরা টাকা নিয়ে এলে বলবেন, আমাদের টাকা দাও যে ১৫ লক্ষ টাকা করে দাওনি। ওই টাকা নিয়ে বলবেন তোদের খরচা করে দিলাম যা। আর কখনো টাকা দিয়ে ভোট কিনতে আসবে না।

খাল কেটে কুমির আনবেন না। মনে রাখবেন একজন রিক্সাওয়ালার ভোটের যা দাম আদানি আম্বানিদেরও একই ভোটের দাম। মাতৃবন্দনা নামে একটি প্রকল্প আনা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ মহিলাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে নিয়ে আসব। তাদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। ন্যূনতম সুদে। যাতে তারা নিজেদের মতো ব্যবসা করতে পারে।

বেশি কিছু করলে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় দেবেন। আমি ভুল করলে আমাকে দু’টো দেবেন। ওদের চারটে দেবেন। মোদী নিজের নামে স্টেডিয়াম বানিয়েছে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে। কোনদিন দেশটাকেও বেচে দিয়ে নিজের নামে করে দেবে।  আমিও হিন্দু বাড়ির মেয়ে। তবে আমার কাজ হিন্দুদেরও রক্ষা করা, মুসলিমদেরও রক্ষা করা, খ্রিষ্টানদেরও রক্ষা করা, আদিবাসী বাগদি বাউরিদেরও রক্ষা করা। এটাই আমার শিক্ষা।

Advt

 

Previous articleনিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে চাকরের কাজ করানোর অভিযোগ BJP বিধায়কের স্বামীর বিরুদ্ধে
Next articleকথা রাখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সায়ন্তিকা