কেশিয়াড়িতে বুথে ঢুকতেই জানতে পারলেন তাঁদের ভোট গ্রহণ হয়ে গেছে

ভোটে কারচুপি। কমিশনের কাছে উত্তর চাইলেন ভোটাররা। কেশিয়াড়ি গ্রামে অন্য সকল ভোটারদের মতই সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বুথে ঢোকার পর জানতে পারলেন পোস্টাল ব্যালটে তাঁদের ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার জানান, তাঁরা নাকি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। প্রথমটাই হতবম্ব হলেও পরে বুঝতে অসুবিধা হয়নি, যে এটা একরকম কারসাজি। পশ্চিম মেদিনীপুরে এঘটনা শুধুমাত্র একজনের সঙ্গে ঘটেছে তা নয়, ৯ জন ভোটার বুথে ডূকে জানতে পারেন তাঁদের ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এইনিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। যা কোনওদিনও আগে ঘটেনি, তা এইবারে কেন ঘটল! এটাই তাঁদের অভিযোগ।
শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট শুরু হতেই এ ঘটনাটি ঘটে কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্গত পচাখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ নম্বর বুথে। এদিন সকালে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান মামনি রজক শীট, আগমনী শীট ও আরও অনেকে। কিন্তু বুথে ঢোকার পর নাম লেখাতে গিয়ে জানতে পারেন, এই ভোটারদের নামের পাশে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। এমনকি নামের ওপর স্ট্যাম্পও মারা রয়েছে। তাই ভোট আর দিতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। ওই ৯ ভোটারের দাবি, তাঁদের বাড়িতে কোনও পোস্টাল ব্যালট আসেনি। তাঁর থেকেও বড় কথা তাঁরা কোনো সরকারি কর্মী বা ভোটের কাজে যুক্ত নন। ফলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তৃণমূল প্রার্থী পরেশ মূর্মু বলেন, “কমিশনের উচিত যোগ্য ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন সেটা দেখা। তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই এনিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। ওই ৯ ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম দেব পাত্র এতে কমিশনের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘কমিশনের কোথাও ভুল হয়েছে। কারণ পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা শুধুমাত্র সরকারি চাকরি বা ভোটের অন্য কোনও কাজে ভোট দিতে পারেন না, তাঁদের জন্যি করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকমটা হয়নি।’

Advt

Previous articleঢাকায় প্রকাশিত হল ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’
Next articleঅভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ সরগরম প্রথম দফা