আমরা যা বলি তাই করি, তাই ভোটটাও আমাদেরই দিন, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নবান্নতে কি আবার আপনারা আমাকে চান? নবান্নতে কি আবার তৃণমূল কংগ্রেসকে চান? আগামী পাঁচ বছরের জন্য আবারও বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার দেখতে চান? তাহলে ভোট দিন আমাকে। ভোট দিন তৃণমূল কংগ্রেসকে। ভোট দিন জোড়া ফুলে। ২৯৪ টা আসনেই তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে আনুন। এভাবে একের পর এক প্রশ্ন রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর স্বতঃস্ফূর্ত জনতা সোচ্চারে এবং দৃপ্ত উল্লাসে তার জবাব দিয়েছেন । শনিবার দিনভর প্রতিটি জনসভায় এভাবেই বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রইলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভালবাসার অঙ্গীকার করলেন।

এদিকে শনিবারই শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। সকাল থেকেই ভোট গ্রহণের প্রতিটি বিষয়ে তদারকি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। পাশাপাশি এদিন তিনি চার জায়গায় চারটি জনসভাও করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বেলদা স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডে একটি সভা করেন। পিংলা বিধানসভা কেন্দ্রে মুন্ডুমারী বাসট্যান্ড মাঠে সভা করেন। খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আর্য বিদ্যামন্দিরে এবং হাওড়া মধ্য বিধানসভার ডুমুর জেলা স্টেডিয়ামেও সভা করেন। প্রতিটি জনসভাই যেন জনসমুদ্রের আকার নিয়েছিল।

হাওড়ার জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমবেত জনতা কে প্রশ্ন করেন, আচ্ছা বলুনতো নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে সবার একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন। আপনারা পেয়েছেন ? কজন পেয়েছেন? হাত তুলুন দেখি। বলুন তো, গ্যাসের দাম কত? বিজেপিকে বলুন আগে গ্যাসের দাম কমাতে । পারলে ফ্রিতে গ্যাস দিতে । তারপর ভোট চাইতে। মমতা ব্যানার্জি ফ্রিতে চাল দেবে । আর সেই চাল ৯০০ টাকার গ্যাসে ফুটবে? কখনো হতে পারে না। এজিনিশ চলতে দেওয়া যায় না। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন। বাংলার মা বোনেরা সিদ্ধান্ত নিন কাকে চান? মনে রাখবেন, রান্নাঘরে আগুন জ্বলে কিন্তু সারা সংসারেই আগুন ধরে যায়। বিজেপিকে ভোট দিলে প্রতিটি সংসারে আগুন ধরবে। আর আমি কন্যাশ্রী শিক্ষাশ্রী রুপশ্রী সাথী সবুজ সাথী যা যা বলেছিলাম সব করে দিয়েছি। করে মিড-ডে-মিল পর্যন্ত সরকার ফ্রিতে দিচ্ছে। যা বলি তাই করি। তাই বলছি ভোটটাও আমাদেরকেই দিন।

আমাদের সরকারের ১০ বছর সম্পূর্ণ হয়নি এখনো। তার মধ্যে একটা গোটা বছর আমরা কোভিডের জন্য কোনও কাজ করতে পারিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকটা নির্বাচন গেছে। সেই সময়গুলোতেও আমরা কোনও কাজ করতে পারিনি। তাই আগামী পাঁচ বছর আমাদের মন দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরো বলেন, আপনারা জানেন, গত ৬০ বছরে বাংলায় ক’টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ? ১২ টা। আর এখন মাত্র ৮ বছরে ৩০ টা এবং আরও ১২টা হাতে আছে, মোট ৪২ টা। আর কত স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় যে হয়েছে তার হিসেব নেই।

Advt

Previous articleরাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, AIIMS-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে
Next articleঢাকায় প্রকাশিত হল ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’