হোলি এবং অন্যান্য উৎসবেও জমায়েত নয়, রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়েছে ভারতে। ফলে আবার গতবছরের স্মৃতি ফিরেছে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এহেন পরিস্থিতিতে দোল বা হোলিতে এবং আগামী দিনে অন্যান্য উৎসবে যাতে জমায়েত না হয় তার জন্য রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে সতর্ক করেছেন।

অজয় ভাল্লা চিঠিতে লিখেছেন, “আগামী দিনে হোলি, শবেবরাত, ফসল রোপণ, ইস্টার, ইদ-উল-ফিতরের মতো আরও অনেক উৎসব রয়েছে। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই সমস্ত উৎসবের সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। উৎসবের সময়ে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্বের মতো করোনা বিধিগুলি যাতে কড়া ভাবে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’ পাশাপাশি জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথাও চিঠিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।

আরও পড়ুন-দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, রবিবার থেকেই জারি নাইট কার্ফু

বৃহস্পতিবার সারাদিন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার সকালে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কোভিড হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী। বৈঠকে ডা. অজয় চক্রবর্তী বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে সব কোভিড হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে কোভিড বেড বাড়াতে হবে। রাজ্যের সরকারি কোভিড হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপিদের সঙ্গে আলোচনায় স্বাস্থ্যসচিব অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আরও ডাক্তার, কর্মীদের কোভিড ওয়ার্ডে নিয়োগের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, “আপাতত চালু সরকারি কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো ১০০ শতাংশ ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বেডের সংখ্যা আরও বাড়বে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।”

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে যে ৬৪৬ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা ২৩৯। রাজ্য়ে ৪ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জন মারা গিয়েছেন। কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে রোগীর মৃ্ত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৩২০ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৭ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যদিও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৭৬ জন কোভিড রোগী। ফলে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৩১ জন।

Advt

Previous articleবিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে প্রথম দফার নির্বাচন
Next articleকরোনায় আক্রান্ত সচিন তেন্ডুলকর, টুইট করে নিজেই জানালেন তিনি