২০০৭-এর নন্দীগ্রাম কাণ্ড নিয়ে শাসকদলকে বিঁধলেন দিলীপ, কী বললেন তিনি?

১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১৮ দিন পরে রবিবার বিকেলে সেখানেই সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকে ২০০৭-এর ১৪ মার্চের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। পুলিশের গুলি চালনা নিয়ে অধিকারী পরিবারের দিকে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “বাপ-বেটার অনুমতি না থাকলে সেখানে পুলিশ ঢুকতে পারত না। ওদিন যে পুলিশ ঢুকবে, গণ্ডগোল হবে, তা কি গদ্দার জানতেন না?” তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন করেন, “সেই সময় বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে তাঁদের কতবার কথা হয়েছিল?” তৃণমূল সুপ্রিমোর এই মন্তব্যে পাল্টা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ বললেন, “কেন কোনও পদক্ষেপ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গত ১০ বছরে বিষয়টি নিয়ে কেন তদন্ত করানো হল না?”

দিলীপ বলেছেন, “নন্দীগ্রামের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কতজনকে সাজা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো পুলিশ আধিকারিকদের প্রোমোশন দিয়ে সেটিং করেছেন। সেইদিন গুলি চালনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ আধিকারিক এখন তৃণমূলে।” দিলীপ আরও বলেন, “১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও নন্দীগ্রাম কাণ্ডের তদন্ত কেন করা হল না। হারবেন বুঝে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব মন্তব্য করেছেন।” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেছেন,”নন্দীগ্রামে স্বজন হারাদের জন্য কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ বছরে কতবার নন্দীগ্রামে এসেছেন তিনি? কেন এতদিন একটা অফিস খুলে সেখানে উন্নয়ন করা হল না?”

আরও পড়ুন-ফের দলবদল, তৃণমূলে যোগ দিলেন আইএসএফ-এর তিন সদস্য

শুভেন্দু অধিকারীর মতো যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বারবার ‘গদ্দার-মীরজাফর-বিশ্বাসঘাতক’ বলে সম্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষ বলেন, “কংগ্রেস ছেড়ে যদি উনি গদ্দার না হন, তাহলে এঁরা কী করে গদ্দার হলেন?”

সোমবার দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন খড়গপুর সদর কেন্দ্রের পদ্ম-প্রার্থী তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সেখানেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন অভিনেতা। বলেন, “আমি সৌভাগ্য়বান যে, গুরুদেব দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) পেয়েছি।” শুধু তাই নয়, খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র জিতে তাঁকে গুরুদক্ষিণা দেওয়ার কথাও বলেন গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থী।

Advt

Previous articleগভীর জটে জোট! আদর্শগত আপত্তিতে তৃণমূলে আইএসএফের শীর্ষ নেতৃত্ব
Next articleচিনের ল্যাব নয়, বাদুড় থেকেই করোনা! WHO রিপোর্ট নিয়ে ফের সন্দেহের মেঘ