৭ বছর পর অ্যাসিড হামলা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি

মহালয়ার ঠিক আগের সন্ধ্যা, মায়ের সঙ্গে টিভি দেখতে যাচ্ছিলেন সঞ্চয়িতা যাদব। সম্পর্ক ভাঙ্গার শাস্তিতে সঞ্চয়িতার মুখে অ্যাসিড ছুড়েছিল সৌমেন সাহা। সোমবার তাঁর অপরাধীকে সাজা শুনিয়েছে ব্যারাকপুর অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত। ১৪ বছরের জেল, ১ লক্ষ টাকা জরিমানা।

এ দিন রায় ঘোষণার সময়ে এজলাসে হাজির ছিলেন সঞ্চয়িতা। রায়ের পরে সঞ্চয়িতা বলেন, “আমার লড়াই বৃথা যায়নি বলেই মনে হচ্ছে। আশা জাগছে, হয়তো আমার মতো অন্য অ্যাসিড আক্রান্তেরাও সুবিচার পাবেন। তাঁদের জন্য আমাদের লড়াই চলবে।”

অ্যাসিড হামলার জেরে ডান চোখ খোয়াতে হয়েছে তাঁকে, মুখে সাতটি অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। গত বছরই বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেছেন সঞ্চয়িতা। সঞ্চয়িতা-শুভ্রর বিয়েতে টুইট করে উইশ করেছিলেন শাহরুখ খান। একটি বেসরকারি সংস্থায় প্রান্তিক মানুষদের মানবাধিকার নিয়েও কাজ করেন তিনি। স্বামী খুব ‘সাপোর্টিভ’। হয়ত কাজের জন্য সবসময় সঙ্গে যেতে পারেনি, তবে আদালতের রায়টা শুনে সেও দারুণ খুশি।

২০১৯ সালে মাকে হারিয়েছেন সঞ্চয়িতা। ‘আজ বারবার মায়ের কথা খুব পড়ছে। থাকলে খুব খুশি হত। আমার লড়াইকে প্রতি মুহূর্তে শক্তি জুগিয়েছে মা’, বলতে বলতে গলা ধরে আসছিল।

সঞ্চয়িতার আইনজীবী জানিয়েছেন, আইন সংশোধন করে অ্যাসিড হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও অ্যাসিড-মামলায় সাজা ঘোষণা হল। এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী সত্যব্রত দাস বলেন, “হয়তো আসামির বয়স ৩৪ বছর বলেই তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দেননি বিচারক। তবে ১৪ বছরের থেকে সাজা কমাতে না চেয়ে সমাজে এই ধরনের অপরাধ যে কত মারাত্মক, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।”

Advt

Previous articleকয়লাকাণ্ডে লালার শুনানি আরও দু’দিন পিছোল
Next articleদিলীপ ঘোষের রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র রসিকপুর