শ্মশানে মৃতদেহের স্তূপ! কোভিডে মৃতের সংখ্যা গোপন করছে মধ্যপ্রদেশ?

শ্মশান ও কবরখানায় মতৃদেহ সৎকারের জন্য লম্বা লাইন। চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মৃতদেহের সৎকার করতে পারছেন না পরিবার-পরিজনেরা। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় এমনই করুণ অবস্থা মধ্যপ্রদেশের। কিন্তু অভিযোগ উঠছে যে বর্তমান অবস্থার সঙ্গে মিল নেই সরকারি হিসেবে মৃত্যুর পরিসংখ্যানের। অভিযোগ, যেখানে একদিনেই একটি শ্মশানে ৩৭টি দেহ পোড়ানো হয়েছে, সেখানে রাজ্যের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৭জনের। এমনটাই তথ্যের গরমিল উঠে এসেছে মধ্য প্রদেশে(Madhya Pradesh)।

সোমবারের সরকারি হিসেব বলছে সেদিন গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। অথচ কেবলমাত্র ভোপালের বাধবাধা শ্মশানেই সেদিন শেষকৃত্য হয়েছে ৩৭ জন কোভিড আক্রান্তের! চলতি মাসে বাকি দিনগুলি, অর্থাৎ ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের হিসাবেও একই ধরনের গরমিল দেখা গিয়েছে।

ভোপাল(Bhopal)-র বাধবাধা শ্মশানঘাটের ডোম জানান, ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার সময় শেষবার এই রকম মৃতদেহের স্তূপ দেখা গিয়েছিল। নিজের ভাইয়ের সৎকার করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, “যখন গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। সেই সময় এরকম ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছিলাম। আজ চার ঘণ্টার মধ্যেই কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০টি মৃতদেহ দেখলাম।” আরেক ব্যক্তি জানান, তিন-চার ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, কারণ শ্মশানে কোনও জায়গাই খালি নেই। মৃতদেহে পোড়ানোর এতটাই চাপ যে দুপুরে খাবার খাওয়ার সময়টুকুও তাঁরা পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন- কোভিড–সঙ্কট চরমে, আজই বন্ধ হওয়ার পথে কুম্ভমেলা!

Advt

Previous articleকোভিড–সঙ্কট চরমে, আজই বন্ধ হওয়ার পথে কুম্ভমেলা!
Next articleকেন্দ্রের দুমুখো নীতি নিয়ে প্রশ্ন কোর্টের, মহাকুম্ভ মেলায় অনুমতি আর নিজামুদ্দিনে রমজানের নামাজে আপত্তি!