নির্দেশিকা জারির পরই শহরের দোকান-বাজারে ‘প্যানিক-শপিং’ শুরু, উপচে পড়েছে ভিড়

শহরজুড়ে শনিবার সকাল থেকে কার্যত ‘প্যানিক- শপিং'(panic-shopping) চালু হয়ে গিয়েছে৷

ভাইরাসের শৃঙ্খল ছিন্ন করতে শর্তসাপেক্ষে দোকান-বাজার খোলার নির্দেশ (directives) জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন৷ ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা যাবে৷

এই নির্দেশের পরেই শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে শহরের দোকান ও বাজারগুলিতে৷ বাজারে, দোকানের সামনে থলে হাতে লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। বেশিরভাগ ক্রেতার মনেই আতঙ্ক, এরপর যে কোনও মুহুর্তে পূর্ণ লকডাউন চালু হয়ে যাবে৷ টান পড়বে খাদ্যদ্রব্যের ৷ তাই শনিবার সকাল থেকেই এক ধরনের আতঙ্কে ঘরে খাদ্যদ্রব্য মজুত করার কাজ চালু হয়ে গিয়েছে৷ ভিড় বেড়েছে দোকান বাজারে। মুদিখানা দোকানের সামনেও বড় লাইন চোখে পড়ছে৷ জেলার ছবিও প্রায় একই৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর পাওয়া যাবেনা, মূলত এই আতঙ্কেই মানুষজন সংক্রমণকে তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন প্রয়োজনীয় রসদ জোগাড় করতে৷
সরকারি নির্দেশিকায় অবশ্য বলা হয়েছে, ওষুধের দোকান, মুদি দোকান সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানগুলি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। হোম ডেলিভারি এবং অনলাইন পরিষেবার ক্ষেত্রেও ছাড় রয়েছে। সেইসঙ্গে যে কোনওরকম জনসমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
হঠাৎ বাজারে ভিড় করা ক্রেতাদের বক্তব্য, “গতবারের লকডাউনে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল। প্রয়োজনীয় জিনিস পেতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই সরকারি নির্দেশিকার কথা জেনেই বাজারে এসেছি। অন্তত সাত দিনের জিনিসপত্র তো কিনে রাখি”৷

আচমকাই আংশিক লকডাউনের এই ঘোষণায় ফের তাজা করে দিয়েছে গত বছরের লকডাউনের স্মৃতিকে।

আরও পড়ুন:ডেথ সার্টিফিকেট-সহ করোনায় মৃতদের দ্রুত সৎকার, দেখভালে নবান্নের ৪৬৬ নোডাল অফিসার

Advt

Previous articleডেথ সার্টিফিকেট-সহ করোনায় মৃতদের দ্রুত সৎকার, দেখভালে নবান্নের ৪৬৬ নোডাল অফিসার
Next articleরাত পোহালেই গণনা, করোনা সংক্রমণ রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের