পূর্ব মেদিনীপুরে ভেঙে চুরমার অধিকারী গড়ের মিথ, নন্দীগ্রাম নিয়ে আদালতে যাবে তৃণমূল

ভেঙে চুরমার অধিকারী গড়ের মিথ। ধুলোয় লুটিয়ে গেল সম্মান। তৃণমূলের দয়াতেই যে তাদের আধিপত্য ছিল, তা একুশের ভোট ফলাফলেই পরিষ্কার। পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫টির মধ্যে ১৪টি তৃণমূলের দখলে। ঝাড়্গ্রামে ৪টির মধ্যে সব কটিতেই জয়ী শাসক দল। ফলে আগামিদিনে অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার বাতাবরণে ঢাকা পড়ল। ভোটের আগে দলবদল করে ফয়দা তুলতে অধিকারীদের দলবদল আপাতত বুমেরাং।

এদিন দিনভর নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) জয়ী বলে ঘোষণা করার পরেও পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল, মমতা নন, জয়ী হয়েছেন বিজেপি (Bjp) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। ১৯৫৩ ভোটে জিতেছেন তিনি। কমিশনের সাফাই, তাদের সার্ভার বসে যাওয়াতেই না কি গোলমাল।

এদিকে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো বলেন, “কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব”। এদিন এক সংবাদমাধ্যমে মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি জানাবে তৃণমূল। “অনেক ইভিএম (EVM)-এ কারচুপি হয়েছে”।

নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে রবিবার সন্ধেয় কমিশনে যায় তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদিকে, রিটার্নিং অফিসার শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন। শুভেন্দু অধিকারী নিজেও নন্দীগ্রামে তিনিই জয়ী বলে টুইট করেন। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার এখনই কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। হয়তো বিষয়টি গড়াবে আদালতে ।

আরও পড়ুন- দলের ভরাডুবি হলেও বিজেপিকে হারানোর জন্য মমতাকে অভিনন্দন রাহুলের

 

 

Previous articleবাংলার রায়কে সম্মান জানালেও মমতাকে অভিনন্দন জানালেন না অমিত শাহ
Next articleচিতার ধোঁয়াকে সন্ধ্যারতি ভেবেই ডুবে গেলো বিজেপি