নারী ক্ষমতায়ন: মন্ত্রিসভায় মমতা-সহ মহিলার সংখ্যা ৯

তিনি নারী শক্তির প্রতীক। নারী ক্ষমতায়নে বারবার জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সে কারণেই তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাড়ির জেষ্ঠ্য মহিলা নামে হয়। এই পরিস্থিতিতে গঠিত হল রাজ্য মন্ত্রিসভা। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর মন্ত্রিসভায় তাঁকে নিয়ে মহিলার সংখ্যা ৯।

পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন শশী পাঁজা (Shashi Panja)। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), রত্না দে নাগ (Ratna De Nag), সন্ধ্যারাণী টুডু (Sandyarani Tudu)। প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা (Seuli Saha), সাবিন ইয়াসমিন (Sabina Yasmin), বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hasda), জোৎস্না মান্ডি (Jyotsna Mandi)।

করোনাকালে রাজভবনে হয় অনাড়ম্বর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ৭ মিনিটের মধ্যেই শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। প্রথমে একসঙ্গে শপথ নেন পূর্ণ মন্ত্রীরা। তারপর স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা। শেষে একসঙ্গে শপথ নেন প্রতিমন্ত্রীরাও।

কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শপথ গ্রহণের আগে আবেগে কেঁদে ফেললেন রত্না দে নাগ। তিনি বলেন, লোকসভায় যখন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান, তখনই তৃণমূল (Tmc)নেত্রী বলেছিলেন তাঁকে কাজের সুযোগ দেবেন।

তিনবারের বিধায়ক। এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে আনন্দিত শিউলি সাহা। বীরবাহা হাঁসদা বলেন, নিজের এলাকার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে গেল। সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করবেন তিনি। জোৎস্না মান্ডি বলেন, জঙ্গলমহলে উন্নয়ন ২০১১ সাল থেকেই শুরু হয়েছে। “আরও ভালো কীভাবে কাজের চেষ্টা করব”।

মালদহে খরা ছিল তৃণমূলের। সেখান থেকেই জেতা সাবিনা ইয়াসমিনকে এবার মন্ত্রী করেন মমতা। সাবিনা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ। দল পরিবর্তন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। মালদহের উন্নয়নে আমি চেষ্টা করব”।

আরও পড়ুন:বিজেপির ৭৭ বিধায়কের জন্যই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চায় দল

বিজেপির (Bjp)বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে প্রচার চালায় তৃণমূল। প্রচারে মহিলাদের প্রতি বিজেপি নেতাদের মন্তব্য সেই অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করে। বিশেষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে ধরনের আক্রমণ বিজেপির কেন্দ্রীয়-রাজ্য নেতৃত্ব করেছিলেন, তা ভালো চোখে দেখেনি বাংলার মানুষ। ভোটের ফল বেরোনোর পর হারের পর্যালোচনা করতে গিয়ে সেটা বুঝেছে বিজেপি। বাংলায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প তৈরি করে মেয়েদের শিক্ষা এবং ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার প্রকল্প গ্রহণ করেন মমতা। এদিন তাঁর মন্ত্রিসভাতেও মহিলাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি।

Advt

Previous articleবক্সারের গঙ্গায় ভাসছে ৪০-৪৫ টি মৃতদেহ, উত্তরপ্রদেশের দিকে দায় ঠেলল বিহার
Next article১০০০ রোগাক্রান্ত ও দুঃস্থ মানুষকে অন্ন যোগানোর দায়িত্ব নিলেন ফারহান