আগামী ১৫ দিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, দাপট কমছে করোনার, দাবি কেন্দ্রের

দেশজুড়ে দাপট কমছে নভেল করোনাভাইরাসের। সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। শনিবার পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব লব আগরওয়াল।

কেন্দ্র দাবি করছে, গত ৩ মে থেকে মোট তিন রাজ্যে-দিল্লি,মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। করোনা মোকাবিলায় সরকার যে যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে তা কার্যকরী। আর সেই কারণেই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে সুস্থতার হার। দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার দাপট কমার যে দাবি করছে কেন্দ্র, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ১৫ দিন ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সব ঠিকঠাক থাকলে জুনের শুরু থেকে অনেকটাই কমবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। উন্নতি হবে পরিস্থিতির।

আরও পড়ুন-কতদিন পর মিলবে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ? আজ থেকেই চালু হয়েছে নয়া নিয়ম

কেন্দ্রের দাবি, দেশের ১০ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৮৫ শতাংশ। বাকি রাজ্যগুলির পরিস্থিতি এত খারাপ নয়। ১০টি রাজ্যের করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি। ৮ রাজ্যের করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। বাকি রাজ্যগুলিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। দেশের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সক্রিয় রোগী সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর প্রথমদিকে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে সংক্রমণের গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমুখী সেই সংখ্যা এখন কমের দিকে। গত এক সপ্তাহে দেশের পজিটিভিটি রেট ২১.৯ শতাংশ থেকে কমে ১৮.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ রাজ্যেই ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। সার্বিকভাবে ভারতের ৮২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী একটি ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে মাসে দেড় কোটি কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে তা ১০ কোটি করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র।

Advt

Previous articleঅফিস যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে শনিবার বিকেল থেকে ১০০ টি অতিরিক্ত বাস নামাল নবান্ন
Next articleআগামিকাল থেকে বন্ধ থাকবে টালিগঞ্জের প্রতিটি সিরিয়ালের শুটিং