খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুললেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র

খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে টুইটারে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র(mahua Moitra)। রবিবার এক টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ‘আঙ্কেলজি’ সম্বোধন করে রীতিমতো কটাক্ষ করেন মহুয়া। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ নিজের ৬জন আত্মীয়কে রাজ্যপালের ওএসডি পদে নিয়োগ করেছেন জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। টুইটারে তাদের নামও প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ(TMC MP)। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে।

রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের ‘বর্ধিত পরিবার’ নিয়ে কটাক্ষ করার পাশাপাশি রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ সম্বোধন করেন মহুয়া। একই সঙ্গে রাজভবনের ওএসডি পদে নিয়োগের তালিকা তুলে ধরেন তিনি যেখানে ৬ জনের নাম রয়েছে আর তারা সকলেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আত্মীয়। তালিকায় রাজ্যপালের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। তালিকায় যে ৬ জন ওএসডি রয়েছেন তারা হলেন,

১. অভ্যুদয় সিং শেখাওয়াত: সম্পর্কে তিনি রাজ্যপালের ভগ্নিপতির ছেলে। তাকে সরাসরি নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যপালের ওএসডির পদে।

২. অখিল চৌধুরী: এনার নিয়োগ হয়েছে ‘ওএসডি কো-অর্ডিনেশন’ পদে। রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে এনার পারিবারিক সম্পর্ক।

৩. রুচি দুবে: ‘ওএসডি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ পদে নিয়োগ করা হয়েছে এনাকে। এই ভদ্র মহিলা রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের স্ত্রী।
৪. প্রশান্ত দীক্ষিত: ‘ওএসডি প্রটোকল’ পদে নিয়োগ করা হয়েছে প্রশান্তকে। জানা গিয়েছে, ইনিও রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের ভাই।
৫. কৌস্তব এস ভালিকর: রাজভবনের ‘ওএসডি আইটি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছে কৌস্তবকে। বর্তমানে রাজভবনের এএসডি পদের দায়িত্ব থাকা শ্রীকান্ত জনার্দন রাওয়ের ভগ্নিপতি এই কৌস্তব।
৬. কিষান ধনকড়: রাজভবনে নবনিযুক্ত ওএসডি কিষানের পরিবারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন টুইট করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।

Advt

Previous articleদ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা টাকি হাউসের প্রাক্তনীদের সংগঠন টিব্যাকের
Next articleমাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক হওয়া উচিত না উচিত নয়, অভিভাবক-সাধারণ মানুষের মতামত চাইছে সরকার