পাহাড় থেকে সমতল, রাজ্যজুড়ে পালিত ‘কন্যাশ্রী দিবস’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুপ্রেরণায় আজকের দিনেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের (Kanyashree Prakalpa) সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ বিশ্বের দরবারে নন্দিত। শনিবার সেই কন্যাশ্রী দিবস (Kanyashree Day) পালিত হল পাহাড় থেকে সমতল, গোটা রাজ্যজুড়ে।

শনিবার উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই পালিত হয়েছে কন্যাশ্রী দিবস। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে। সুসজ্জিত ট্যাবলো মালদহ জেলার প্রতিটি ব্লক পরিক্রমা করে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তিনটি বিদ্যালয় ও তিনটি কলেজকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এদিকে কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আলিপুরদুয়ার। এক অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ায় দুই কন্যাকে সংবর্ধনা দেওয়া ও একটি কন্যাশ্রী ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়।

কোচবিহার জেলায় আন্তঃজেলা টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্থানাধিকারী সমৃদ্ধি বণিককে সংবর্ধনা জানানো হয়। জলপাইগুড়িতে উত্তরণ নামে কন্যাশ্রী ক্লাবের সূচনা হয়। শিলিগুড়িতে নেতাজি গার্লস স্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায়কে পুরস্কৃত করা হয়। উত্তর দিনাজপুরে দুই ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মিরিকে ব্লক অফিসে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালিত হয়। ছিলেন এল বি রাই প্রমুখ।

আরও পড়ুন- ‘নারীশক্তির বিকাশে আরও গুরুত্ব দেওয়া হোক’, প্রাক স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি

দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়া ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের পুস্তক বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ১ নং ব্লকের অনুষ্ঠানে ছিলেন চণ্ডীপুেরর বিধায়ক-অভিনেতা সোহম। মুর্শিদাবাদের সালার থেকে খড়গ্রাম শেরপুর, কান্দি থেকে আন্দি ভরতপুর- সব ব্লকেই ধুমধাম করে পালিত হয় দিনটি।

কান্দি পুরসভার সামনে থেকে ট্যাবলো-সহ মিছিল বেরোয় কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের নিয়ে। পাশাপাশি বড়ঞা, ভরতপুর এক, খড়গ্রাম এবং কান্দি ব্লকে, ছাতনা ব্লকের ধবন গ্রামপঞ্চায়েত অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি স্বপন মণ্ডল ও বঙ্কিম মিশ্র। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমন গুপ্ত। এই জেলায় কন্যাশ্রীতে উপকৃত হয়েছে সাড়ে সাত লক্ষ মেয়ে।

আরও পড়ুন- বিষ ছড়াতেই ‘দেশভাগ দিবসে’র ডাক, পালন করবেন না: কুণাল

প্রসঙ্গত যে সকল অভিভাবকেরা দারিদ্রতার কারণে তাদের মেয়েদের পড়াশোনা না করিয়ে অন্য কাজে লিপ্ত করে দিত তারা আজ নতুন স্বপ্নের জাল বুনেছে এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত এই উদ্যোগ অনেকের জীবনে নতুন দিশা দেখিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও এই কন্যাশ্রী প্রকল্প স্বীকৃতি পেয়েছে।

কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘‌কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সব মেয়েদের সাফল্য আমি উদযাপন করছি। আমি তাদের কৃতিত্ব, উৎসাহ আর নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আমাদের সর্বদা কাজ করে যাওয়া উচিত।’‌

advt 19

 

Previous articleবিষ ছড়াতেই ‘দেশভাগ দিবসে’র ডাক, পালন করবেন না: কুণাল
Next articleতীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হাইতি, সুনামির সতর্কতা জারি