বিশ্বকাপের নায়ক হয়ে উঠলেন অ্যাশেজেরও নায়ক। কথা হচ্ছে বেন স্টোকসকে নিয়ে। কার্যত তাঁর অপরাজিত শতরান লিডসে অ্যাশেজ টেস্ট জয় এনে দিল ইংল্যান্ডকে। এক উইকেটে 76 রানের পার্টনারশিপই ব্রিটিশদের এই জয় এনে দেয়। এর ফলে অ্যাশেজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট ছিল 359 রান। তৃতীয় দিনের শেষে 3 উইকেট হারিয়ে 156 রান তোলে ব্রিটিশ বাহিনী। তখন অপরাজিত ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। তখন তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ক্রিজের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বেন স্টোকস। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষে তাঁর সংগ্রহ ছিল মাত্র 2। চতুর্থ দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল 203 রান। আর উল্টোদিকে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল 7 উইকেটের।

তবে এ দিনের শুরুতেই নাথান লিঁয়র বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে ক্রিজে টিকে থাকা জো রুট সাজঘরে ফিরে যান। তারপর ফিরে যান জনি বেয়ারস্টোও। তাঁর সংগ্রহ 36। এরপর ব্রিটিশ ব্যাটেলিয়ানে ধস নামতে শুরু করে। একে একে ফিরে যান জস বাটলার, ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার, স্টুয়ার্ট ব্রডরা।

যখন ইংল্যান্ডের স্কোর 286, তখন নয় উইকেট হারিয়ে ধুকছিল ব্রিটিশ দল। কার্যত ভেন্টিলেশনে থাকা ইংল্যান্ডকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে তোলেন বেন স্টোকস। তাঁর 135 রানে অপরাজিত থাকা মূলত জয়ের মুখ দেখায় ইংল্যান্ডকে। অবশেষে এই জয় সমতায় ফেরল ইংল্যান্ডকে।