দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর। সম্প্রীতির বাণী প্রচারে উদ্যোগী শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে একটা মন ভালো করা ভিডিও। যদিও দেশের সীমা পেরিয়ে, এ ছবি সূদুর স্পেনের। উপলক্ষ্য গণেশ পুজো। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়রা গণেশ বন্দনার আয়োজন করেন। খবর যায় স্থানীয় চার্চ কর্তৃপক্ষের কানে। তারাই অনুরোধ করেন, বিসর্জনের সময় যেন গণপতিকে একবার গির্জায় নিয়ে আসা হয়। কারণ, সেই সময় সেখানে চলছিল প্রার্থনা। সেই মতো রাজবেশে চতুর্দোলায় চেপে চার্চে যান গণেশ। মুখোমুখি হন দুই ধর্মের, দুই সম্প্রদায়ের আরাধ্যরা। যেন বাড়ির ফেরার আগে বন্ধুকে “বাই” বলে যাওয়া। আর যাঁর পাড়ায় যাওয়া, তাঁর অনুরোধ আবার, “আবার এসো, সখা”। নাচে, গানে চার্চের মধ্যেই গণেশ বন্দনায় মাতেন সব ধর্মের মানুষ।
এত পর্যন্ত সবটাই ভালো ছিল। হতে পারত মধুরেণ সমাপয়েৎ। কিন্তু ধর্মের বেড়াজালও মানবিকতার মতোই সব জায়গাতেই ছড়ানো। এই ঘটনার জেরে গির্জার যাজক ফাদার জোয়ন জোস মেটিও কাস্ট্রোকে ধর্মীয় চোখ রাঙানিতে পদত্যাগ করতে হয়। চার্চের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চাইতে হয় ক্ষমাও। যদিও, হিন্দুধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সহনশীলতা ও উদারতা প্রকাশের জন্যই তিনি গণপতির জন্য চার্চের দরজা খুলে দেন বলে জানিয়েছেন ফাদার কাস্ট্রো। তবে, যিশু-গণেশের মুখোমুখি সাক্ষাতের এই বিরল মুহূর্ত বিশ্বজুড়েই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
আরও পড়ুন-ট্রাফিক আইন ভাঙায় এবার 2 লক্ষ টাকা জরিমানা গুনতে হলো ট্রাক মালিককে
