হেরিটেজের তালিকায় রাজ্যের 9টি স্থাপত্য

মহানগর ও আশপাশের মোট 9 টি স্থাপত্য চিহ্নিত হল হেরিটেজ হিসেবে। তালিকায় ব্যারাকপুর, চন্দননগর, হুগলির প্রাচীন মন্দির সহ বিখ্যাত ব্যাক্তিদের বাড়ি। এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এখন থেকে ওই সব স্থাপত্য, সংলগ্ন জমি, বাড়ি হাতবদল করা যাবে না। এই সব দেওয়াল বা সংলগ্ন এলাকায় হোর্ডিং পোস্টার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরি ব্যারাকপুরের শিবশক্তি অন্নপূর্ণা মন্দির ও হুগলির পোলবার মহানাদের ব্রক্ষ্মময়ী কালী মন্দির। পাশাপাশি, চন্দননগরের কৃষ্ণা ভবানী নারী শিক্ষা মন্দির, প্রবর্তক সঙ্ঘের শ্রীমন্দির, নন্দলাল ভড়ের বাড়িও রয়েছে। ব্যারাকপুরের স্টুয়ার্ট সাহেবের কুঠি যা নীলকুঠি হিসেবে পরিচিত, সেন্ট বার্থোলোমিউস ক্যাথিড্রাল, কমনওয়েলথ ওয়ার কবরখানা পেয়েছে স্টেট হেরিটেজ তকমা। কলেজ স্ট্রিটের দেবসাহিত্য কুটির প্রকাশনা ভবনও রয়েছে এই তালিকায়। এই প্রতিটি মন্দির ও ভবন ঘিরেই রয়েছে এক একটি ইতিহাস। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির তৈরি করেছিলেন রানি রাসমণি। 20 বছর বাদে তার ছোট মেয়ে জগদম্বা দেবী  1875 সালের 12 এপ্রিল শিবশক্তি অন্নপূর্ণা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণেশ্বরের নবরত্ন মন্দিরের আদলের তৈরি এই মন্দির। এই মন্দির চত্বরেই নীলকর সাহেব স্টুয়ার্ট সাহেবের কুঠি। যা মন্দিরের জমি কেনার সময়ই কেনা হয়েছিল। এলাকায় তখন এটি নীলকুঠি হিসেবেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে দমকলকে জায়গাটি ভাড়া দেওযা হয়েছে। ব্যারাকপুর সদরবাজারে রয়েছে ব্রিটিশ সৈনিকদের সমাধিস্থল। কাছেই সেন্ট বার্থোলোমিউস ক্যাথিড্রাল।

চন্দননগরে 1926 সালে হরিহর শেঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কৃষ্ণা ভবানী নারী শিক্ষা মন্দিরের বাড়িটি। এটাই জেলায় মেয়েদের প্রথম ইংরাজি মাধ্যম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর রয়েছে চন্দন নগরের প্রাচীন শ্রীমন্দির। যা অনেকের কাছে ‘কনে বউ মন্দির’। হেরিটেজ স্বীকৃতি পাচ্ছে চন্দন নগরের নন্দলাল ভড়ের বাড়িও।

আরও পড়ুন-এবারের বৃহত্তম দুর্গামুখ উত্তরের রামমোহন সম্মিলনীতে

Previous articleএবারের বৃহত্তম দুর্গামুখ উত্তরের রামমোহন সম্মিলনীতে
Next articleমুকুলের অন্য রূপ দেখা গেল রাতে?