দেশের অবস্থা খুবই টালমাটাল, নোবেল পেয়ে বললেন অভিজিৎ

ভারতের অর্থনীতির অবস্থা খুব ভাল নয়। টলমলে অবস্থা। নোবেল পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া বাংলার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমেরিকা থেকে বললেন, ভাবতেই পারিনি। অপ্রত্যাশিত। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ফোন আসছে একের পর এক। বন্ধুরাই জানাল। দারুন অনুভূতি। আমাদের কাজের স্বীকৃতি।

নব্বই দশকের শেষ দিক থেকে আমরা কাজ শুরু করি। অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে কোনও একটি তত্ত্বে ভরসা না করে প্রত্যেকটি সমস্যার আলাদা আলাদা করে সমাধান করা। ‘পুওর ইকনমি’ বইতে অনেকটা সেই কথাই বলা হয়েছে। তবে এত তাড়াতাড়ি পাব ভাবিনি। কারন অনেকে অর্থনীতিবিদ রয়েছেন, যাঁরা অনেক কাজ করছেন, অনেক দিন ধরে কাজ করছেন তাঁরা পাবেন বলেই আশা করেছিলাম। আমার সবে তো à§«à§® বয়স।

আপনার শিক্ষক তো অমর্ত্য সেন। কথা হল নোবেল পাওয়ার পর? না, কথা হয়নি। তবে ওনার সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়। আসলে উনি তো আমাদের সাবজেক্টে একটা স্তম্ভ। উনি পাশে থাকা মানেই অনেক কিছুর দিক নির্দেশ করা। হ্যাঁ একটু আনন্দ তো হচ্ছেই। স্যারের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে নোবেল পেলাম।

নোবেল পাওয়ায় কাজের সুবিধা হবে কতখানি? সেভাবে সুবিধা কী হবে বলা মুশকিল। তবে আসলে এই ছাপটা থাকলে অনেকে এগিয়ে আসে। দারিদ্র‍্য দূরীকরণ এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। অনেক সময়েই ভোটের জন্য, জনপ্রিয়তা পেতে, পপুলিস্ট হতে চায়। কিন্তু ভারতের মতো দেশে পরিকল্পনা দরকার। সরকারি প্রকল্পে লক্ষ্য রাখা উচিত কীভাবে সর্বাধিক মানুষ উপকৃত হয়।

দেশে ফিরবেন এ মাসের শেষেই। আসতে পারেন কলকাতায়। কী খাবেন? পোস্ত-ভাত ভালবাসি, হেসে ফেললেন নোবেলজয়ী।