মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য নিজের শহর কলকাতায় এসেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাত আটটায় তিনি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সপ্তপর্ণী আবাসনে নিজের বাড়িতে ফেরেন। শুধু রাতটুকু নিজের বাড়িতে বিশ্রাম নেন তিনি। এরপর সকাল হতেই বেরিয়ে যান সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।

মঙ্গলবার সারাদিন দিল্লিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। তারপর পাঁচটা কুড়ির বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন অভিজিৎ। সাতটা কুড়ি নাগাদ যখন তাঁর বিমান নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়, তখন সেখানে উপস্থিত প্রচুর গুণমুগ্ধ। ছিল সংবাদ মাধ্যমও। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ব্রাত্য বসু। সাংবাদিকদের শত অনুরোধ সত্ত্বেও সংবাদ মাধ্যমের সামনে এক মুহূর্তের জন্যও দাঁড়াননি তিনি। শুধুমাত্র এক ঝলক হাসি উপহার দিয়েই বিমানবন্দর ছাড়েন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

সেখান থেকে তিনি সোজা যান বালিগঞ্জ প্লেসের সপ্তপর্ণী আবাসনে। যেখানে তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করছিলেন খ্যাতিমান ছেলের জন্য। তবে তিনি একাই নন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল সপ্তপর্ণী আবাসন, অপেক্ষায় ছিল মহানগরও।
রাত ৮ টায় সপ্তপর্ণী আবাসনে পৌঁছন অভিজিৎ। পাড়ার নোবেলজয়ী ছেলেকে শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান আবাসনের বাসিন্দারা।

গাড়ি থেকে নেমে সোজা আটতলায় নিজের ফ্ল্যাটে চলে যান অভিজিৎ। এখানেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একটি কথাও বলেননি তিনি।

এরই মাঝে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান অভিজিতের বাড়িতে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ পাঠিয়ে দেন।

প্রায় ঘণ্টা খানেক এর সাক্ষাতের পর নবনীতা দেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে একটিও শব্দ খরচ করেনি।

আরও পড়ুন-রাজ্য চাইলে বাংলায় কাজ করতে রাজি নোবেলজয়ী অভিজিৎ
