পেটের দায়ে ঠিকাদারের হয়ে কাজ করতেই ওরা কাশ্মীর গিয়েছিলেন। দিনভর কঠোর পরিশ্রম করে খুব বেশি হলে 250 -300 টাকা পেতেন তাঁরা৷ সারাদিন পরিশ্রমের পর সেদিনও ফিরেছিলেন নিজেদের ডেরায়৷ মাঝপথেই জঙ্গিদের কবলে পড়ে গণহত্যার বলি হতে হল বাংলার 5 শ্রমিককে৷ লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে জঙ্গি- বুলেটে ঝাঁঝরা হলেন মুর্শিদাবাদের 5 শ্রমিক৷ এই মর্মান্তিক খবর কাশ্মীর থেকে মুর্শিদাবাদে আসতে সময় নেয়নি। খবর আসতেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার বাহালনগর গ্রাম নিস্তব্ধ। গ্রামজুড়ে শোকের আবহ৷ আজ, বুধবার কার্যত অরন্ধন গ্রামজুড়েই৷ গোটা জেলা এখন অপেক্ষা করছে 5 শ্রমিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

মৃত্যুর খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেই বুধবার সকাল থেকে শোকে ভেঙ্গে পড়েছে গোটা গ্রাম৷ যথারীতি শুরু হয়েছে স্বজনহারানো কান্না৷ গোটা গ্রাম এক হয়ে মৃত শ্রমিকদের দেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়৷ মৃতের পরিবারগুলি এখন জানতে চাইছে কেন এমন ঘটনা ঘটল? কী অপরাধ ওরা করেছিলো? কী চাইছে জঙ্গিরা?


রাজ্যের পাঁচ নিতান্তই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ট্যুইটে বলেছেন, “এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক৷ আমি মর্মাহত৷ কোন ভাষা নেই৷ কাশ্মীরে নিহত মুর্শিদাবাদের 5 শ্রমিক৷ কাপুরুষোচিত আক্রমণ করেছে জঙ্গিরা৷ এরা মানবতার শত্রু৷ সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে আবেদন, এদের পাশে এসে দাঁড়ান৷”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে বলেছেন, “আমি বাকরুদ্ধ৷ মুর্শিদাবাদের 5 শ্রমিককে হারালাম৷ কোন মন্তব্যই সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়৷ নিহত পরিবারকে সবরকম সাহায্য দেওয়া হবে৷ এই পরিস্থিতিতে সব সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আমরা৷’’
এদিকে, বুধবার সকালেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি যান লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি৷ সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের ফোন করে গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চান অধীর৷ নিহত পরিবারের সামনেই নিজের ফোন থেকে কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে কীভাবে দেহ নিয়ে আসা হবে জানতে চান। জেনে নেন, আহত শ্রমিকদের অবস্থা কী? বাকি বাঙালি শ্রমিকদের বর্তমান পরিস্থিতি কী?

আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন, কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার

