ফের রাজ্যপাল-রাজ্য সঙ্ঘাত। এবার রাজ্যপাল আটকে দিলেন বিল। তাঁর অভিযোগ, গণপিটুনি প্রতিরোধ বিলে নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন একই বিলে কেন দুটি বয়ান?

রাজ্য সরকারের এ নিয়ে বক্তব্য এটা নেহাতই দৃষ্টিভ্রম। কিন্তু রাজ্যপাল বেঁকে বসে বিলে জড়িত দফতরগুলির আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ দু’মাস ধরে এ নিয়ে সমাধানে আসা যায়নি। ফলে বিলটি আপাতত রাজভবনের অফিসে লাট খাচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এই বিলের ভবিষ্যৎ কী? নিয়ম বলছে অর্থ বিল বাদ দিলে অন্য বিলে রাজ্যপাল সম্মতি আটকে রাখতে পারেন বা বিধানসভায় ফেরত দিতে পারেন। আর রাজ্য কোনও সংশোধন ছাড়াই ফের বিলটি পেশ করে রাজ্যপালকে পাঠাতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল বিলে সই করতে বাধ্য।

অগাস্ট মাসে প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল বিধানসভায় পাস হয়। যে বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হয়, তার সঙ্গে বিধায়কদের দেওয়া বিলটির থেকে আলাদা। প্রথমটিতে গণপিটুনিতে সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন, আর দ্বিতীয়টিতে সর্বোচ্চ সাজা ছিল মৃত্যুওদণ্ড। অথচ এ নিয়ে কোনও সংশোধনী বিধানসভায় আনা হয়নি, এবং দুটি বিলের নম্বরও এক। এখানেই বেধেছে গোল। বিরোধীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিল আটকে দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তরফে কখনও বলা হয়েছে অন্য দফতর জানে। কখনও বলা হয়েছে ছাপার ভুল। আইন দফতর দৃষ্টিভ্রম বলায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জানতে চান সেটা কী? উত্তর অবশ্য মেলেনি। সংবিধানের ২০৭ ধারা অনুযায়ী গণপিটুনি রোধে যে বিল রাজ্য আইনে পরিণত করতে চাইছেন সে নিয়ে বিরোধীরা একাধিক আপত্তি জানায়। সেই আপত্তিকে শিখন্ডী করেই রাজ্যপাল আপাতত অনড়।
