ধেয়ে আসছে ‘বুলবুল’। তটস্থ প্রশাসন। বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যে প্রবল আকার নিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে শনিবার গভীর রাতের দিকে তা আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপ আর বাংলাদেশের খেপুড়পাড়ার কাছে। এ রাজ্যের উপকূল ঘেঁষে ঝড় যাবে। কিন্তু তার ছোঁয়ায় তাণ্ডব কোন পর্যায়ে পৌঁছেতে পারে তা অনুমান করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বৈঠক করেছে। ভিডিও কনফারেন্স হয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা আর আন্দামান-নিকোবরের কর্তাদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পি কে মিশ্র জানান, উপকূল এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, রাজ্যে ঝড় আসবে না বলেই অমুমান। তবে বাংলাদেশে ঝড় আছড়ে পড়লে তার প্রভাব পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে পড়বে। হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। আজ রাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইবে।

সাগরের জলের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি পেরিয়ে গেলেই ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ-ই মুহূর্তে তাপমাত্রা প্রায় ২৯ ডিগ্রি হওয়ায় বুলবুলের দাপট বাড়বে বলে আশঙ্কা। বিগত ২-৩ বছরে তাপমাত্রা বাড়ছে সাগর জলের। চলতি বছরে আরব ও বঙ্গোপসাগরে সাতটি ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে।

ঝড়ে কাঁচা বাড়ি, গাছ, খুঁটি ভেঙে পড়তে পারে। সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা চলছে। শনি ও রবিবার সৈকত পর্যটন বন্ধ থাকছে। নজরদারি থাকছে রাজ্যগুলির। তৈরি থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
