অজিতের সঙ্গে মাত্র ৬ বিধায়ক! বেইমানির জবাব দিতে তৈরি শরদ

শনিবার সকালে যদি মুখ পড়েছিল শিবসেনা আর কংগ্রেস-এনসিপি জোটের। তো রবিবার মুখ পুড়তে চলেছে বিজেপির। তার কারণ শনিবার রাতেই ওয়াই বি চহ্বন সেন্টারে বৈঠক ডাকেন শরদ পাওয়ার। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল ওই বৈঠকে দলের ৫৪জন বিধায়কের মধ্যে ৪৮জন হাজির ছিলেন। এমনকি অজিত ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকেই দেখা গিয়েছে। পাওয়ার বৈঠকে সাফ জানান, আত্মীয় হোক বা যেই হোন, গদ্দারদের দলে স্থান নেই। দলের পরিষদীয় নেতার পদ থেকে অজিতকে সরিয়ে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় দেখার পর ৬ বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। গতকালের ঘটনা আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসকে। উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন আহমেদ প্যাটেল ও শরদ পাওয়ার। পাখির চোখ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। অজিত পাওয়ারকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের গেরো কাটাতে ৩৬ বিধায়ক নিয়ে বেরতে হবে। অন্যদিকে হুইপ জারি করছে এনসিপি। ফলে ভোট হলে তা মানতেই হবে। অজিত পাওয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন। বিজেপির দল ভাঙানোর খেলা বন্ধ করতে শনিবার রাতেই ঠিক হয় বিধায়কদের অন্যত্র পাঠানো হবে। এই ৬দিন কংগ্রেস বিধায়করা থাকবেন মধ্যপ্রদেশে। এনসিপি বিধায়করা রাজস্থানে। শিবসেনা বিধায়কদেরও মধ্যপ্রদেশে রাখার কথা হয়েছে। ফলে জমজমাট নাটক। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শরদ-উদ্ধবরা। ৩০শে অগ্নিপরীক্ষা। মুখ পুড়বে কার?

Previous articleআস্থা ভোট আজই হোক, সুপ্রিম কোর্টে দাবি সিংভির
Next articleরাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর জীবনাবসান