আন্দোলন, অবস্থান তুলুন। সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বুধবার পার্শ্ব শিক্ষকদের সব ক’টি সংগঠনকে নিয়ে বিকাশ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সরকারি কর্তারাও ছিলেন। ছিলেন আন্দোলনে অবস্থানকারীরা, এবং অবস্থানে অংশ নেননি যাঁরা, তাঁরাও।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথমেই আমি জানতে চেয়েছি রাজ্য টাকা দিচ্ছে না বলা হচ্ছে। ওদের কাছে টাকা না দেওয়ার কাগজটা দেখতে চেয়েছি। জানিয়ে রাখি, কেন্দ্র নির্দিষ্ট হেডে টাকা পাঠায় না। এই খাতে আমরা কেন্দ্রের কাছে কয়েক হাজার কোটি পাই। সেই টাকা অন্য খাত থেকে দিতে হয়। সবটা গ্যালারি শো হচ্ছে। লাভ নেই। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে পার্শ্ব শিক্ষকরা ৪হাজার টাকা পেতেন। ক্ষমতায় এসে প্রথমেই করি ৫হাজার টাকা। আর মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের অবদানের কথা মাথায় রেখে প্রি-প্রাইমারিতে ১০হাজার ও আপার প্রাইমারিতে ১৩হাজার টাকা করেছেন। সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী এই বৃদ্ধি করেছেন। বৃদ্ধি হয়েছে ৬৮%। যারা ননট্রেন্ড তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। দেওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল সুবিধা, ইপিএফ, স্বাস্থ্যসাথী। কিন্তু তারমানে তো এই নয় যে ওরা যখন-তখন রাস্তায় বসবেন!
এদিন সরকারিভাবে না বললেও পার্শ্ব শিক্ষকরা জানিয়েছেন, লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে তাঁরা অনশন তুলবেন না। এ প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, এ তো ওনাদের ব্যাপার। আমি বলেছি পড়ুয়াদের স্বার্থে ক্লাসে ফিরে যান। স্থায়ীকরণ সহ অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। তবে এটা আলোচনা করতে হবে। এখানে বসে বলে দিতে পারি না। তবে সমাধান করার চেষ্টা করব। লিখিত দেওয়ার দাবি তো ওনাদের। কিছু বলার নেই। ওটা ওনাদের ব্যাপার। সকলে ওদের সঙ্গে বসতে অনুরোধ করেছিলেন। বসেছি। ওদের কাজে ফিরে যেতে বলেছি। আবার এটাও ঠিক, কোনও সংস্থায় দীর্ঘদিন কেউ নোটিশ ছাড়া না এলে, সংস্থা ব্যবস্থা নেয়। এ কথা ওনাদেরকেও মাথায় রাখতে হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানান, কারওর বিরুদ্ধে শো’কজ তোলা হবে না।
পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি স্কেল দিতে হবে। সে প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা বলছে স্কেল করে দিন। স্কেলের মানে বুঝি না। তার মানে কি স্থায়ী নাকি! স্থায়ী না করেও স্কেল দেওয়া যায়। কিন্তু আলোচনা ছাড়া একদিনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এটা ওনাদের বুঝতে হবে।