১১০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ধৃত ‘মারুতি সুজুকি’-র প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর জগদীশ খট্টর

‘মারুতি সুজুকি’ সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর জগদীশ খট্টরকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ২০০৮ সালে শুরু করে সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসার মধ্যবর্তী সময়েই মারুতির জন্য ওই টাকা খট্টর ঋণ হিসাবে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গত ২০ ডিসেম্বর সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার এফআইআর দায়ের করে এবং সোমবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

১১০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে দিনকয়েক আগেই সিবিআই খট্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। খট্টরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রতারণা ও অপরাধমূলক যড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, খট্টর যখন মারুতি সুজুকি ছেড়ে তাঁর নতুন কোম্পানি ‘কারনেশন অটো ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ গড়ে তোলেন, তখন তিনি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) থেকে ১১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।সেই ঋণের ১১০ কোটি টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা, খট্টর ও তাঁর নতুন সংস্থা কোনও সুদ দেননি। ২০১৫ সাল থেকেই পিএনবি-র ওই পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী থেকে গিয়েছে।

খট্টর ও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা “অসাধু উপায়ে ও জালিয়াতি করে” ব্যাঙ্কের অনুমতি ব্যতীত হাইপোথেকটেড পণ্য বিক্রি করে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ অন্য দিকে সরিয়ে ফেলেছিলেন।

পিএনবি’র টলস্টয় হাউজ শাখা খট্টর এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল, সেটির ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এফআইআরটিতে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কের ফরেনসিক অডিট থেকে জানা গিয়েছে, খট্টরের সংস্থা ৯৯.৯২ কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছে, যা সিকিউরিটি হিসাবে বর্ণিত ছিল।

Previous articleআবু হাসেমকে সিবিআই জেরা
Next articleফের মেট্রোয় ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের