বেলুড় মঠে স্বামীজির পুণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজনীতি করতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বিরোধিরা রাজনীতি করছে বলে তাদের তুলোধোনা করতেও ছাড়লেন না।

পড়ুয়াদের সামনে রেখে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার, ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। মহাত্মা গান্ধীও তো এটাই চেয়েছিলেন। তাহলে কেন এই বিরোধিতা? মোদির জবাব, কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধিতা করছে। পড়ুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছে। আপনারাই বলুন, বিরোধিতা করা ঠিক হচ্ছে? মজার হচ্ছে আপনারা যেটা বুঝছেন, সেটা রাজনীতিকরা কেন বুঝছেন না! উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন। যাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে তাদের আমাদেরই বোঝাতে হবে। দেখার বিষয় এবার তরুণরাও এগিয়ে আসছেন। প্রকৃত তথ্য জানতে পারছেন।

এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, ৭০ বছর ধরে ওই দেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করেছে। এবার ওদের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। অনেক অধিকারের কথা হয়েছে। এবার কর্তব্য পালনও করতে হবে।

স্বামীজির পুণ্য জন্মতিথিতে বেলুড়ে রাত কাটানো এবং স্বামীজির স্মৃতি বিজড়িত ঘরে কিছু সময় কাটাতে পারার দারুণ অনুভূতির কথাও তিনি তুলে ধরেন। ফের তিনি বলেন, স্বামীজি যা চাইতেন, সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে চাই। করব।
