রাজ্যপালের উদ্ভট কথা শুনে বিজ্ঞানিরাও হাসছেন! কটাক্ষ পার্থর

ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রতিদিন সব বিষয়ে নিয়ে মন্তব্য এবং তা থেকে জন্ম নেওয়া বিতর্ক একেবারেই ভাল নজরে দেখছে না রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমান রাজ্যপালের যা ভূমিকা, আমরা এই রাজ্যে কোনওদিন তা দেখিনি। এ ধরনের ধংসাত্মক ভূমিকা কোনও রাজ্যপালের ক্ষেত্রে পূর্বে দেখা যাইনি। রাজ্যপাল এই রাজ্যে ‘পিআর’ করতে এসেছেন। এই ধরেনের আচরণ কোনও রাজ্যপাল করেনি। শিক্ষা দফতরকে বাদ দিয়ে, সরকারকে বাদ দিয়ে আচার্য হবেন, সেটা হয় না।”

এরপর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপাল যেখানেই যান তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। তা সরকারি অনুষ্ঠান হোক বা বেসরকারি। পূর্বে কোন রাজ্যপালকে এমন দেখিনি। এ রাজ্যে আগে গোপালকৃষ্ণ গান্ধি, কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যপাল ছিলেন। কিন্তু এ রকম অদ্ভুত আচরণ কেউ করেননি।”

এখানেই শেষ নয়। রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “ওনার সঙ্গে ব্যক্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি শিক্ষা দপ্তরকে এড়িয়ে বিরোধী কথাবার্তা বলবেন সেটা হয় না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোনমিতে কোনও হস্তক্ষপ করব না। উপাচার্যরা কী করবেন তাঁরা সেটা ঠিক করবেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। রাজ্যপালের যা ভূমিকা আছে। আমরা এই রাজ্যে কোনওদিন দেখিনি। এধরনের ধংসাত্মক ভূমিকা আগে কোনও রাজ্যপালের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।”

রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “”তিনি এমন সব উদ্ভট কথা বলছেন, যে তাঁর কথা শুনে বিজ্ঞানীরাও হাসছেন। তিনি শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বিরোধিতার শিখণ্ডী হতে এসেছেন।”

সবশেষে ধনকড়কে খোঁচা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্যপালকে বিনীত অনুরোধ করি, আপনি চুপ থাকলেই সম্মানটা বাড়বে। তিনি বাংলা শিখুন। বাংলায় থাকবেন আর আন্তরিকতা থাকবে না সেটা তো হতে পারে না।”