Thursday, August 28, 2025

CAA-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল SFI

Date:

Share post:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনও ছাত্র সংগঠন শীর্ষ আদালতে মামলা করলো৷

বাম ছাত্র সংগঠন SFI এবার CAA-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পা রেখেছে৷ আদালতে পেশ করা হলফনামায় CAA-র সাংবিধানিক বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷

SFI-এর হলফনামায় বলা হয়েছে:

◾এই আইনে বিশেষ কয়েকটি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এই কথাটিই সংবিধানের 14 নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

◼ “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন”- এ বলা হয়েছে, 2014-র 31 ডিসেম্বরের আগে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাই এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। অর্থাৎ পড়শি দেশ থেকে আসা মুসলিমরা যে এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন না, তা কার্যত স্পষ্ট।

◾দেশের সংবিধান অনুযায়ী, আইনের চোখে সবাই সমান। ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা যায় না। কিন্তু CAA ঠিক সেটাই করছে।

◾যে কোনও আইন সংশোধন করতে হলে, সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কেন করা হচ্ছে বলা থাকে। CAA এ বিষয়ে নীরব। কেন এই আইন আনা হচ্ছে, কেন আইনে সংশোধন দরকার, তারও ব্যাখ্যা করাই হয়নি

◾ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার বিশেষ কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলেও, তাঁরা যে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন, তা কী ভাবে যাচাই হবে, বলা নেই সে সব কথা৷

◾এই 2020 সালে 1920 সালের পাসপোর্ট আইনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে৷ ব্রিটিশ আমলের এই আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কেউ ভারতে ঢুকতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি বুঝে এ ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বা শ্রেণিকে ছাড় দিতে পারে সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও এর উল্লেখ রয়েছে। ওই আইনে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

◾ ব্রিটিশ আমলের ওই আইন অনুযায়ী, চাইলে যে কোনও লোককে সরকার ছাড় দিতে পারে৷ কিন্তু কাদের এই ছাড় দেওয়া হবে? সরকার চাইলেই কি যা খুশি করতে পারে?

◾ CAA আইন সংশোধন করতে গিয়ে আজ ধর্মের নিরিখে এর প্রয়োগ করা হচ্ছে। কাল অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে, সে অন্য ভাবে করবে। সেই কারণে পাসপোর্ট আইনে এই ছাড় দেওয়ার ক্ষমতাটিই অসাংবিধানিক৷

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...