Sunday, August 24, 2025

উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। উপলক্ষ্য উত্তরবঙ্গ উৎসব। একদিকে উত্তরে দলের জমি উদ্ধার, অন্যদিকে দেশের ঐক্য বজায় রাখা, এই দুই বিষয় নিয়েই আত্মবিশ্বাসী ও আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে। কেন বারবার ফিরে আসেন বাংলার উত্তরে? মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, দক্ষিণবঙ্গ আমার ঘর হলেও উত্তরবঙ্গ আমার আপন, প্রাণের। তাই বারবার এখানে আসি।

মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, দুই বাংলার উন্নয়ন ছিল আমার সরকারের প্রায়োরিটি। আমরা কাজের সুবিধার জন্য নতুন জেলা তৈরি করেছি। নয়া সেক্রেটারিয়েট উত্তরকণ্যা তৈরি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, নতুন বিমানবন্দর হচ্ছে, রাস্তা, সেতু হয়েছে। আরও হচ্ছে। প্রেস ক্লাবও হল।

এরপরেই ফিরে আসেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটা রাজনৈতিক দল বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। রাতে হামলাও হচ্ছে মাঝেমাঝে। সাফ বলছি, এই মাটিতে কোনও হামলা হতে দেব না। এটা মিলনের তীর্থ। এই উৎসবে আসবেন সকলে, হাতে হাত মিলিয়ে গড়ে তুলুন নাগরিক প্রতিরোধ।

সভায় উপস্থিত পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, এনআরসি, সিএএ নিয়ে ভাববেন না। আমি আছি। হবে না। আর আমি আছি মানেই বাংলার একশো শতাংশ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। ওরা এনপিআর নিয়ে বলছে, বাবা-মার জন্ম সার্টিফিকেট দিতে হবে। আমি তো নিজেই দিতে পারব না। তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে দেব! তারপর আবার ওরা বলছে, জন্ম সার্টিফিকেট না দিলেও চলবে। আরে মার্কশিটে একটা বিষয়ের নম্বর না থাকলে কেউ পাশ করে? আসল সময়ে ওই অসম্পূর্ণতা দেখিয়ে বাতিল করবে ফর্ম। তাই আমি বলছি, আগে কাগজ ঠিক করো তারপর আলোচনা। আক্রমণাত্মক মমতা বলেন, কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে অনেকে গিয়েছিলেন। আমি যাইনি। ওদের ভুল বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্কার বলছি, কেউ না থাকলে একলা চলো রে… আমি বিশ্বাস করি সুভাষবাদ, গান্ধীবাদে। একদিন তার জয় হবেই।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version