উত্তর কলকাতার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। কাউন্সিলর অনিন্দ্য রাউত বোরো কমিটির চেয়ারম্যানও বটে। এলাকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। অনেক সিনিয়র সাধনবাবুর সঙ্গে অনেক জুনিয়র অনিন্দ্যর দূরত্ব স্পষ্ট। তৃণমূলের একটা বড় অংশ অনিন্দ্যর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল বিজেপির কাছে। এবার যদিও নরেন্দ্র মোদির ভোট নয়, তবু, বিজেপি কিছু ভোট তো পাবেই। অনিন্দ্যর শিবির বলছে, তিনিই আবার প্রার্থী এবং জিতবেন। লোকসভার বিজেপি হাওয়া কাজ করবে না। বরং স্থানীয় পরিষেবাতেই মানুষ ভোট দেবেন। অন্যদিকে উল্টোশিবির বলছে, তৃণমূলেরই বড় অংশ অনিন্দ্যকে সমর্থন করছে না। সাধনবাবু এখানে অনেক কর্মসংস্থান করেছেন। বহু সামাজিক কাজ করেন। ফলে পুরপিতার পরিষেবাই একমাত্র নয়। অনিন্দ্যশিবির মনে করছে একবার তিনি টিকিট পেয়ে গেলে সবাই এক হয়ে নামবে। কিন্তু অন্য শিবির সূত্রে খবর পুরোপুরি উল্টো। বাম এবং কংগ্রেস এখানে দুর্বল। বিজেপি যদি লোকসভার ভোটটাই ধরে রাখে, তাহলে সেটা তৃণমূলের পক্ষে চিন্তার। তৃণমূলের যুবশক্তির একটা বড় অংশ চাইছে দল প্রার্থী বদল করুক। তাহলে আসন দখলে থাকবে। পুরপিতার শিবির অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সরকারি আইনজীবী অনিন্দ্যকেই অপরিবর্তিত রাখবে দল। দুই শিবির অপেক্ষা করছে প্রার্থী ঘোষণার।