প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী

১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এইচকে সিং নামে এক আইনজীবী। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় এলে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। উপরন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। রাঁচি হাইকোর্টে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, রামদাস আতওয়ালের নামে মামলা করেন ওই আইনজীবী। ৪১৫, ৪২০ এবং ১২৩(খ) এই তিন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এইচকে সিং বলেন, ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হল, কারণ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে কথা দেওয়া হয়েছিল- দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে এই আইন লাগু হবে। আইনজীবীর প্রশ্ন, সিসিএ লাগু হল কারণ কথা দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। তাহলে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটার কী হবে? তিনি আরও বলেন, দু’নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না। বিজেপি যদি সিএএ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে তাহলে তাদের উচিৎ ১৫ লক্ষ টাকাও দেওয়া উচিৎ।

কংগ্রেস নেতা অলোক দুবে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের মিথ্যে কথায় মানুষ বিরক্ত। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।’’ যদিও বিজেপি মুখপাত্র অজয়নাথ শাহদেও-র যুক্তি ‘‘হঠাৎ একটা মামলা করার অর্থ, সস্তার প্রচার পাওয়ার চেষ্টা। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি কখনই প্রতিশ্রুতি দেননি সাধারণ মানুষ ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন। বুধবার রাঁচি আদালতে মামলার প্রথম শুনানি ছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মার্চ।’’

আরও পড়ুন-আধার কার্ড সংশোধন নিয়ে বিতর্ক, কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত পুরসভার

Previous articleআধার কার্ড সংশোধন নিয়ে বিতর্ক, কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত পুরসভার
Next articleবাজারে আসছে পোকো X2