Sunday, August 24, 2025

বিধানসভায় রাজ্যপালের অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স! কৃতিত্ব পার্থর?

Date:

প্রথা মেনে রাজ্যের দেওয়া ভাষণ দাড়ি, কমা মেনে পাঠ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু তারপরে প্রথা ভাঙলেন তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার বদলে তিনি সোজা চলে যায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে। সেখানে তখন উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনজনের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, দুজনের মধ্যে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে সংঘাত এড়িয়ে সমন্বয় গঠন করে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এই পরিস্থিতিতে সম্পর্কের যে বরফ জমেছিল, তা গলেছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

সূত্রের খবর, এবিষয়ে মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সমন্বয়ের কাজটি করেন। নিজে রাজভবনে যান, সঙ্গে নিয়ে যান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। মুখ্যসচিবকে পাঠান। এবং তিনি যে সফল, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল, রাজ্যপালের বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিদায় মুহূর্তের ফ্রেম। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজ্যপালের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন। হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করেন। আর দলীয় সূত্রে খবর একশোয় ১০০ পেয়েছেন পার্থ।

বৈঠক শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে নিয়ে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর একটিও শব্দ উচ্চারণ না করে সকলকে প্রতি নমস্কার করে রাজ্যপাল গাড়িতে উঠে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান।
এমনকী, রাজ্যপাল যিনি যে কোনও বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে এদিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি কোনও কথাই বললেন না। এখন এই অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

বিরোধীরা অবশ্য এটাতেও তৃণমূল-বিজেপি গোপবন আঁতাত দেখছে। তাদের মতে, রাজ্যকে অস্বস্তি না ফেলার জন্য মঙ্গলবার রাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ফোন আসে রাজভবনে। আর সেটা মেনেই আগে যাই বলুন না কেন, তিনি বিধানসভায় রাজ্যের পাঠানো স্বাগত ভাষণই পাঠ করেন। কারণ, যাইহোক রাজ্যপালের এই প্রথা মানা অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স নিয়ে জোর তরজা রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন-রাজ্যের খসড়া বক্তৃতা হুবহু পড়লেন ধনকড়!

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version